প্রধানমন্ত্রীর ভুয়া এপিএস আটক
Published : Saturday, 22 May, 2021 at 12:00 AM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস-২ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মানিকগঞ্জে মো. রুবেল মিয়া ওরফে শাওন (৩৬) নামের এক যুবককে আটক করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়নের (র্যাব-৪) সদস্যরা। শুক্রবার সদর উপজেলার বেতিলা মিতরা ইউনিয়নের বেতিলা এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রমজান মোল্লার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক রুবেল মিয়া হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের বসন্তপুর আর্দশ গ্রামের শেখ মোশারফ হোসেনের ছেলে। মানিকগঞ্জের আঞ্চলিক কোম্পানি কমান্ডার এএসপি উনু মং আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে মানিকগঞ্জ এলাকায় নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে গরিবদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করার কথা বলে চাঁদা দাঁব করছিলেন রুবেল। বিভিন্ন জনকে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গণভবন থেকে নৌকা প্রতীক এনে দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। আবার কোনও কোনও ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কিংবা জেলা পর্যায়ে কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেওয়ারও কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন অভিযুক্ত রুবেল।
সর্বশেষ ওই প্রতারক ফরিদপুরে একটা খেলার অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণের জন্য মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার ওয়্যাররলেস গেটের ড্রিম টাচ ইলেকট্রনিকের মালিক তৌফিক খানের কাছে টেলিভিশন দাবি করেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার বেতিলা এলাকার মো. রমজান মোল্লার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইলফোন ও ভুয়া ভিজিটিং কার্ড পাওয়া উদ্ধার করা হয়। আটকের পর র্যাব-৪ এর মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রতারণার কথা স্বীকার করেন বলে জানান এএসপি উনু মং।
প্রতারণার অভিযোগে ড্রিম টাচ ইলেকট্রনিকের মালিক তৌফিক খান বাদী হয়ে রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও তিনি জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
সিআইডি সেজে প্রতারণার মামলায় গিয়াস গ্রেফতার
সিআইডি কর্মকর্তা সেজে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গিয়াস উদ্দিন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ মে) ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর চৌমুহনী এলাকায় নিজ ভাড়া বাসা থেকে ডবলমুরিং থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেফতার গিয়াস সিআইডি কর্মকর্তা সেজে প্রতারণার পাশাপাশি বর্তমানে মাদক ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
মোহাম্মদ মহসীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গিয়াসউদ্দিন ভয়ংকর প্রতারক। তিনি বিভিন্ন পরিচয়ে প্রতারণা করতেন। ২০১৫ সালে ক্রসফায়ার থেকে বাঁচানোর কথা বলে আকবর নামে মানবপাচার মামলার এক আসামির পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ২০১৭ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গিয়াসের বিরুদ্ধে করা সিআইডি পরিচয়ে চাঁদাবাজির মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য ২০১৬ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিলমোহরসহ একটি চিঠি সিআইডির চট্টগ্রাম কার্যালয়ে আসে। পরে তদন্ত করে দেখা যায় এটিও ভুয়া। এ ঘটনায় খুলশী থানায় গিয়াসকে আসামি করে ২০১৬ সালে আরেকটি মামলা করা হয়।’