Published : Monday, 24 May, 2021 at 12:00 AM, Update: 24.05.2021 1:02:20 AM
সচিবালয়
থেকে সরকারি ‘নথি চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে
গ্রেপ্তার হওয়ার ছয় দিন পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন সাংবাদিক
রোজিনা ইসলাম। রোববার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার
থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে বেরিয়ে আসেন প্রথম আলোর এই জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।
উপস্থিত সাংবাদিকরা এসময় কথা বলার চেষ্টা করলেও পুলিশের কড়া নিরাপত্তার
মধ্যে সেই সুযোগ হয়নি।
ঢাকার মহানগর হাকিম বাকী বিল্লা রোববার সকালে
পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে রোজিনার জামিন
মঞ্জুর করেন। সেই খবর পাওয়ার পরপরই গাজীপুরের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের
কর্মীরা ব্যানার ও ফুল নিয়ে কাশিমপুর কারাগারের বাইরে উপস্থিত হন।
কাশিমপুর
কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, রোজিনার জামিনের কাগজপত্র
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ইমেইলে কারাগারে পৌঁছায়। এরপর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে
রোজিনার স্বজনদের দুইটি মাইক্রোবাসকে কারাগারের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়
কারা কর্তৃপক্ষ।
তার পরিবারের ১৬ জন সদস্য দুটি আলাদা গাড়িতে কারা
অভ্যন্তরে প্রবেশ করে; পরে রোজিনা ইসলামের জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই
শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
রোজিনার বোন লীনা আক্তার, দেবর জাহিরুল
ইসলাম ও প্রিন্স জাকারিয়া, ননদ রুজিনা আক্তার এবং ভাগ্নি মারিয়া রাউকি
ছিলেন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ।
রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ‘চুরির চেষ্টার’
অভিযোগে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে গত ১৭ মে সচিবালয়ে
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তার কক্ষে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে
রাখা হয়।
পরে রাতে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে ব্রিটিশ আমলের অফিসিয়াল
সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দ-িবিধির কয়েকটি ধারায় মামলা করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
রোজিনা
ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর তার সহকর্মীরা বলেছেন,
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘অনিয়ম-দুর্নীতি’ নিয়ে প্রতিবেদন করায় তাকে
‘হয়রানি’ করা হচ্ছে ব্রিটিশ আমলের এক আইন ব্যবহার করে।
সচিবালয়ে আটকে রাখার সময় রোজিনাকে ‘শারীরিকভাবে হেনস্তা’ করা হয় বলেও অভিযোগ করেছে তার পরিবার।