করোনায়
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়ে ২৫ জন মারা গেছেন। তবে রবিবার (২৩ মে) ২৮ জনের
মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের নিয়ে
দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১২ হাজার ৪০১ জন।
তবে
মৃত্যু কমলেও গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে নতুন শনাক্তের সংখ্যা। নতুন করে এক হাজার
৪৪১ জন শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে রবিবার এক হাজার
৩৫৪ জন শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন শনাক্ত হওয়া এক হাজর ৪৪১ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত সাত লাখ ৯০ হাজার ৫২১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৩৪ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হওয়ার পর মোট সুস্থ হলেন সাত লাখ ৩১ হাজার ৫৩১ জন।
এদিকে
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় রোগী শনাক্তের হার আট দশমিক ১৫ শতাংশ। এখন পর্যন্ত
রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২
দশমিক ৫৪ শতাংশ আর শনাক্ত বিচেনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫৭ শতাংশ।
গত ২৪
ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৮ হাজার ৩৩৫ টি। পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার
৬৮৩টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৮ লাখ ৩৮ হাজার
২৯৫টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪২ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩৬টি,
আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৯টি।
দেশে
বর্তমানে ৪৮৬ টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য
অধিদফতর জানায়, এর মধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষা হচ্ছে ১২৯টি
পরীক্ষাগারে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা হচ্ছে ৪২ টি
পরীক্ষাগারে আর র্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে পরীক্ষা হচ্ছে ৩১৫ টি
পরীক্ষগারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৫ জনের মধ্যে পুরুষ ২১ জন আর নারী
চার জন। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৩ জন, ৫১ থেকে ৬০
বছরের মধ্যে আছেন সাত জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চার জন আর ২১ থেকে ৩০
বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন।
এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে আট হাজার ৯৬৯ জন পুরুষ ও তিন হাজার ৪৩২ জন নারী মারা গেছেন।
মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে আছেন ছয় জন করে, খুলনা বিভাগে সাত জন আর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আছেন তিন জন করে।
২৪
ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৫ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ২০ জন,
বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন তিন জন আর বাড়িতে মারা গেছেন দুই জন।
গত
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ৮৩৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আছেন ২৭১ জন, চট্টগ্রাম
বিভাগে আছেন ২৪২ জন, রংপুর বিভাগে ৪৭ জন, খুলনা বিভাগে ৭৭ জন, বরিশাল
বিভাগে ৩৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৯০ জন, সিলেট বিভাগে ৬১ জন আর ময়মনসিহং
বিভাগে আছেন ১১ জন।