ইসমাইল নয়ন ॥
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য খলিল খানকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন ও মিছিল করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (২৪ মে) বিকেলে সাহেবাবাদ বাজার ও সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ এলাকায় কুমিল্লা মিরপুর সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও মিছিলে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের অংশ গ্রহন করেন।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবক ও উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের আহবায়ক মনির হোসেন চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমানত খান, জাকির খান সম্রাট প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সন্ত্রাসী মজি সর্দারের গ্যাংরা সংঘবদ্ধ পরিকল্পিত ভাবে প্রকাশ্যে দিবালোকে ৭নং সাহেবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান মেম্বার খলিল খানকে হত্যা করেছে এবং তার ছোট ভাই পইরম খান ও তার ভাতিজা সাকিব খানকে দারালো ও অস্ত্র এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে। আমরা সাহেবাবাদ গ্রামবাসী সন্ত্রাসী মজি সর্দার ও তার গ্যাংদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবী জানাচ্ছি।
উল্যেখ যে, সাহেবাবাদ গ্রামের মৃত জমির খার ছেলে আজ্জম খান সাহেবাবাদ বাজারে তাহার একটি দোকান ঘর একই গ্রামের আবদুল রাজ্জাকের ছেলে আবদুল মজিদ (৫৭) এর নিকট মাসিক ৪ হাজার ৫শ টাকা হারে ভাড়া দেন। ওই দোকানের ভাড়াটিয়া আবদুল মজিদ দোকানের বিদ্যুৎ বিল প্রতি মাসে পরিশোধ করার কথা থাকলেও তিনি বিল পরিশোধ করেননি এবং পরপর কয়েক মাসের ভাড়াও না দিয়েই দোকান ঘর ছেড়ে দেন। এ দিকে বিদ্যুৎ বকেয়া থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ দোকান ঘরের বিদ্যুতের লাইনটি বিচ্ছিন করে দেয়। এ নিয়ে আজ্জম খান ও আবদুল মজিদ এর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও দ্বন্ধ হয়।
এ নিয়ে গত ৬ মে সন্ধায় স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিল খানসহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিধোধ মিটাতে সাহেবাবাদ বাজারে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে আবদুল মজিদের লোকজন ইউপি সদস্য খলিল খানসহ ওই ঠৈবক উপস্থিত ১০/১২জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। আহতদের প্রথমে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ইউপি সদস্য খলিল খানকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার রাতে (১৬ মে) ইউপি সদস্য খলিল খান মারা গেছেন। এ ঘটনায় গত ৬ মে খলিল খানের ছোট ভাই আবদুল জলিল বাদী হয়ে আবদুল মজিদকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১২জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, আবদুল মজিদ ও তার লোকজন ইউপি সদস্য খলিল খানসহ ১০/১২জনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউপি সদস্য খলিল খান মারা গেছেন। ওই মামলাটি হত্যা মামলা হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামীরা পালিয়ে গেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।