সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) নিয়েছে। এর ফলে ভ্যাট পরিশোধ ও ভ্যাট রিটার্ন জমা সংক্রান্ত সেবা পাবে প্রতিষ্ঠানটি।
আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পরিচালক কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এনবিআর থেকে ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব নেটফ্লিক্স ও মাইক্রোসফটের মতো আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানকে সরাসরি এমন সুযোগ দেয়ার পর গুগলই প্রথম ভ্যাট নিবন্ধন পেল।’
এর আগে গত এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এসব প্লাটফর্মের বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট কেটে নেয়ার নির্দেশ দেয় রাজস্ব বোর্ড। এনবিআরের নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা গেছে, ভ্যাট সেবা পেতে গুগল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৯ সাল থেকেই চেষ্টা করছিল। ভ্যাট আইন অনুসারে সরাসরি এ সেবা পাওয়ার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে দাবি ছিল। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ভ্যাটের সেবা পেতে ভ্যাট এজেন্ট নিয়োগ করতে হয়েছিল।
এ বিষয়ে সংস্থাগুলো এনবিআরকে বেশ কয়েকটি চিঠি দেয়। এতে তারা ভ্যাট দেয়ার বিষয়ে সরাসরি সেবা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশে স্থায়ী অফিস না থাকায় বিষয়টির সুরাহা হয়নি।
ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ও মাইক্রোসফটের মতো আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থা বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না বলে জানিয়েছিল এনবিআর। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব কোম্পানিকে বাংলাদেশে অফিস স্থাপন অথবা ভ্যাট এজেন্ট নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।
তাদের নিযুক্ত এজেন্টরা ব্যবসা পরিচালনা বাবদ বাংলাদেশ সরকারকে রাজস্ব দেবে। কিন্তু পরবর্তীতে ২০২০ সালের প্রথমদিকে আলাদা ভ্যাট নিবন্ধন নম্বরের আওতায় আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর থেকে বিআইএন রেজিস্ট্রেশনের পেতে আবেদন করে প্রতিষ্ঠানগুলো।