ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
চান্দিনায় ব্রিকফিল্ডের রাবিস  দিয়ে সড়কের কাজ!
Published : Thursday, 27 May, 2021 at 12:00 AM
রণবীর ঘোষ কিংকর।
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের কাশিমপুর-বাতাবাড়িয়া সড়ক পাকাকরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ব্রিকস ফিল্ডের রাবিস, বালির সাথে মাটি ও নি¤œমানের ইটের গুড়ায় নির্মাণ হচ্ছে চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ও মহিচাইল দুই ইউনিয়নের ১.৩ কিলোমিটার ওই সংযোগটি। সড়কের নির্মাণাধীন কাজ পরিদর্শণে গাড়ি নিয়ে কেউ যাতে যেতে না পারে সেজন্য কোন যানবাহন প্রবেশ করতে না পরে সেজন্য সড়ক জুড়ে মাটি ও মালির স্তুপ দিয়ে এক রকম বেরিকেট দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার।
দৃশ্যমান এমন কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় স্থানীয়দের বিভিন্ন হুমকি ধমকি দিয়েছেন ঠিকাদার। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়- উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের কাশিমপুর হতে বাতাবাড়িয়া পর্যন্ত ১.৩ কি.মি. সড়ক পাকাকরণসহ জোয়াগ ইউনিয়নের আরো দুটি সড়ক পাকাকরণের জন্য এলজিইডি থেকে প্রায়  দুই কোটি টাকা বরাদ্দ হলে দরপত্রের মাধ্যমে কাজ পায় উপজেলার মেসার্স এম এম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে কাজটি বাগিয়ে নেয় কোহিনুর আক্তার নামে এক ঠিকাদার।
সড়কের কাজ শুরু হলে ব্রিকফিল্ডের চুল্লির মাটি, উচ্ছিষ্টাংশ (রাবিস) সড়কে ফেললে সড়কের ওই কাজে বাধা প্রদান করেন স্থানীয়রা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই মহিলা এলাকাবাসীদের বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এছাড়াও সড়কের কাজে তদারকি করা উপজেলার প্রকৌশল অফিসের ব্যক্তিরাও দেখে না দেখার ভান করার অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগ জানান, মাধাইয়া এলাকার সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক। জরুরি মুর্হূতে এ সড়কের ব্যবহার বেশি। তাই কন্ট্রাক্টর এই সড়কের উপরে ব্রিকফিল্ডের রাবিস ও নি¤œমানের ইটের গুঁড়া ফেললে আমরা এলাকাবাসীরা এক জোট হয়ে প্রতিবাদ করি। প্রতিবাদ করলে আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় ঠিকাদার কোহিনুর।
সড়কের কাজে তদারকি করছেন উপ-সহকারি প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ। তাঁর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে আমি কাজ বন্ধ করে দেই। পরে দরপত্রে উল্লেখিত সিডিউল মোতাবেক কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুনরায় কাজ চালু করি। ওই সড়কের কাজ তদারকি করার জন্যে আমাদের অফিসের একজনকে স্থায়ীভাবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম এম এন্টারপ্রাইজ স্বত্ত্বাধিকারী কাজী তৌহিদুল আলম মঈন জানান- আমার লাইসেন্সে কাজটি পেলেও ওই কাজটি করছেন কোহিনুর আক্তার নামের একটি ঠিকাদার।
এদিকে, ঠিকাদার কোহিনুর আক্তারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার অপচেষ্টা করেন।  
চান্দিনা উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সড়কে অনিয়মের কথা স্বীকার করে জানান, ‘সড়কটির কাজে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল সেটা আমি সংশোধন করিয়েছি। আরো কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে সেটাও সংশোধন করাবো’।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- বিষয়টি জেনেছি, আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।