ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নওগাঁ-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে প্রশাসন
Published : Thursday, 27 May, 2021 at 1:01 PM
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নওগাঁ-চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে প্রশাসন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নওগাঁর কয়েকটি উপজেলাকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। ওইসব উপজেলার ইউএনও এবং সকল থানার ওসিদেরকে বেশ কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সাথে নওগাঁর দু’টি হাইওয়ে সড়ক আছে। এছাড়া ছোট-অনেকগুলো যাতায়াতের পথ আছে।
ইতোমধ্যেই সেগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। করা হচ্ছে মাইকিং। এসব চেকপোস্টে জরুরি পণ্যবাহী যাহবাহন ছাড়া অন্য কোনও যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।

এছাড়াও যেসব পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে সেগুলোতে ভালোভাবে জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে, স্যানিটাইজারের ব্যবহার ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এদিকে, বিজিবি ভারত সীমান্তে কড়া নিরাপত্তায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। নওগাঁ জেলার সাপাহার-পোরশা ও নিয়ামতপুর পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা। আর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আছে ধামইরহাট পত্নীতলা, সাপাহার ও পোরশাসহ ৪টি উপজেলা।

নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া জানান, যেহেতু চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওযায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তাই সংক্রমণ রোধে নওগাঁ-চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাথে হাইওয়ে সড়ক ছাড়াও ছোট যাতায়াতের যেসব সড়ক রয়েছে সেগুলোতে ইতোমধ্যেই পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, যাতে কেউ অকারণে যাতায়াত করতে না পারে। আর যেসব পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে সেসব যানবাহনকে ভালোভাবে জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে স্যানিটাইজারের ব্যবহার ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করা হচ্ছে।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশীদ জানান, পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে যাতে নওগাঁয় করোনা সংক্রমণ ছড়াতে না পারে সেজন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাথে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় হাট বাজার ও গণপরিবহনে সামাজিক দূরত্ব, শতভাগ মাস্ক ব্যবহার ও অন্যান্য বিধিনিষেধ কার্যকরে আরও বেশী নজরদারির কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১৮২জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৯৮৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের।