নিজস্ব
প্রতিবেদক:
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী অর্থবছরের বাজেটের
লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছেন। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীদের বাঁচানোই
হবে মূল লক্ষ্য। মহামারীকালে আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট কেমন হবে,
সংসদে বাজেট উত্থাপনের ছয়দিন আগে অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি এই
কথা বলেন। জবাবে গাণিতিক কোনো সংখ্যা প্রকাশ না করলেও বাজেটের লক্ষ্য ও ধরন
নিয়ে ধারণা দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৯তম সভা শেষে ব্রিফিংয়ে জানতে চাইলে বাজেট নিয়েও কথা বলেন তিনি।
আগামী ৩ জুন সংসদে বাজেট উপস্থাপনের কথা রয়েছে।
মহামারী
শুরুর পর একবছর আগে স্বাস্থ্য, প্রণোদনা ও সামাজিক সুরক্ষাকে প্রাধান্য
দিয়ে মোট পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী, যা
ছিল তার দ্বিতীয় বাজেট।
চলতি অর্থবছর বাজেটের আকার ছয় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে।
করপোরেট
কর হার কমানো, অন্যান্য করের বোঝা কমানোর বিপরীতে করজালের বিস্তার করাসহ
বাজেটের বিভিন্ন নতুন পদক্ষেপের খবরও প্রকাশ করা হচ্ছে গণমাধ্যমে।
এসব
বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর ভাষ্য হচ্ছে, “বাজেট কেমন হচ্ছে, কী থাকছে তা জানার
জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যেদিন সংসদে প্রচারিত হবে, সত্যিকার তথ্য আপনাদের
সামনে চলে আসবে। এটা কোনোভাবেই আমরা ডিসক্লোজ করতে পারি না।“
“জেনারেলি
আমরা এই কথা বলতে পারি যে, আমাদের লক্ষ্যই থাকবে দেশের মানুষকে বাঁচানো;
ব্যবসায়ীদেরকে বাঁচানো। সবার সবকিছু দেখেই আমরা এবার বাজেট উত্থাপন করব।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের সব পিছিয়ে পড়া মানুষ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আমাদের সাথে রাখতে হবে। তাদেরকে সাথে রেখেই এগিয়ে যেতে চাই।“
দেশে
মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের বিস্তার ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার এই সময়ে
ভারতে উদ্ভূত করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের চোখ রাঙানির মধ্যেই সংক্ষিপ্ত
পরিসরে ২ জুন শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন।
অধিবেশনের খসড়া সূচি অনুযায়ী, পরদিন বাজেট উপস্থাপন করতে পারেন অর্থমন্ত্রী।
আগামী বাজেট এর আগে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, এটি ‘জীবন ও জীবিকা’ রক্ষার বাজেট।
সমাজের
অতি দরিদ্র মানুষকে মূল ধারায় নিয়ে আসা, গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা
এবং মহামারীর কারণে বিধ্বস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোকে টিকে থাকার সুযোগ করে
দেওয়ার কৌশল আগামী বাজেটে থাকবে বলে এর আগে বিভিন্ন বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন
তিনি।