ভারতের মহারাষ্ট্রের থানেতে একটি ভবন ধসে সাতজন নিহত হয়েছে। ধসে পড়া ভবনের ভেতর এখনও অনেকেই আটকে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ থানের উল্লাসনগরে নেহরু চকে অবস্থিত একটি পাঁচতলা বাড়ির স্ল্যাব আচমকাই ভেঙে নিচ তলায় এসে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। ভবনের ভেতর আটকা পড়েন আরও কয়েকজন।
অপরদিকে এনডিটিভি জানায়, গতকাল রাতেই ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধার কর্মীরা। পরে মধ্যরাতে আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানান তারা।
থানে পৌর কর্পোরেশনের আঞ্চলিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেলের প্রধান সন্তোষ কদম বলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনজন নারী, তিনজন পুরুষ এবং এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহগুলো ভবনে বসবাস করা দুইটি পরিবারের। ২৬ বছরের পুরাতন ভবনটিতে ২৯টি ফ্ল্যাট ছিল।
এদিকে গতকাল রাতে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন জেলা মন্ত্রী একান্ত শিন্ডে। তিনি জানান, ওই এলাকায় এটা দ্বিতীয় ঘটনা। ১৯৯৪-৯৫ সালে এই ধরনের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু কিছু বাড়ি এখনও রয়েছে।
এগুলো সে সময় কোনো অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিলো। আগামী দিনের কথা বিবেচনা করে এ ধরনের বাড়িগুলো দ্রুতই ভেঙে ফেলা হবে।
উল্লেখ্য, থানেতে চলতি মাসে আরও একটি ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে। গত ১৫ মে উল্লাসনগরে ‘মোহিনী প্যালেস’ নামে একটি বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। সে ঘটনায় ১২ বছরের এক শিশুসহ পাঁচজন মারা গিয়েছিলেন।