দুর্নীতি দমন কাঠামোর মূল দুর্বলতা চিহ্নিত করতে হবে : আইনমন্ত্রী
Published : Saturday, 5 June, 2021 at 12:00 AM
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আধুনিক দুর্নীতি প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন কাঠামোর মূল দুর্বলতা এবং ফাঁক-ফোকরগুলোকে অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে। পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধে নতুন ও উদ্ভাবনী পন্থা অবলম্বন করতে হবে।’
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সিস্টেমের মধ্যে একটি বিস্তৃত সমন্বিত পদ্ধতির প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) রাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে দুর্নীতি বিরোধী সাধারণ আলোচনায় সম্প্রচারিত প্রি-রেকর্ডেড ভিডিও বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ।
জাতিসংঘের সদর দফতর নিউইয়র্কে তিন দিনব্যাপী (২-৪ জুন) দুর্নীতি বিরোধী ভার্চুয়াল এ আলোচনা চলছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং আমাদের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নারী ও যুবক-যুবতীসহ সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে পুরো সমাজে একটি সমন্বিত পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধ আর্থিক প্রবাহসমূহ রোধ এবং বাজেয়াপ্ত সম্পদগুলো পুনরুদ্ধার ও ফিরিয়ে আনা গেলে তা কার্যকর সম্পদ সংস্থান এবং এসডিজি বাস্তবায়নে অবদান রাখতে পারে। কিন্তু অতীতে হতাশার সাথে পর্যবেক্ষণ করা গেছে যে, জাতিসংঘের দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশনের (ইউএনসিএসি) সুস্পষ্ট বিধান থাকার পরও সম্পদ পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াগুলোতে বাড়তি কিছু বাধা রয়েছে। এসব বাধা দূর হওয়া উচিত। প্রয়োজনে, এই কনভেনশনের অধীনে সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক একটি অতিরিক্ত প্রটোকলের সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে।’
ইউএনসিএসি’র কার্যকর বাস্তবায়নের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ, ফৌজদারি আইন, দুর্নীতি দমন কমিশন, তথ্য অধিকার, হুইসেল ব্লোয়ার সুরক্ষা, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধ, ফৌজদারি বিষয়গুলোতে পারস্পরিক আইনি সহায়তা, বহিঃসমর্পন, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট ও ট্রান্সন্যাশনাল অপরাধ প্রতিরোধসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সরকার জাতীয়ভাবে আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করেছে।’
এছাড়া বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধে সুশাসন ও জনসচেতনতার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ও সম্প্রদায়ভিত্তিক বিভিন্ন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মচারী এবং ব্যবসায়ী নেতাদের দুর্নীতি সম্পর্কিত তদন্ত এবং বিচারের মুখোমুখি করে সমাজে দুর্নীতি দমনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন স্তরে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে আলোকপাত করতে সরকার সুশীল সমাজ ও মিডিয়াকে অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করছে।’