তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় একট ফুটবল ক্লাবের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মামলার দুই আসামির প্রত্যেককে এক হাজার বছরের বেশি কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
তুরস্কের ওই আদালত শুক্রবার এ রায় দেন। আসামিদের একজন গণমাধ্যমের কর্মকর্তা এবং আরেকজন সাবেক পুলিশ প্রধান। খবর রয়টার্স ও আনাদোলুর।
এক দশক আগে ঘরোয়া লিগে ম্যাচ পাতানোর কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার দায়ে ফেনেরবাহস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আজিজ ইলদিরিমকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং দলটিকে দুই মৌসুমের জন্য ইউরোপের প্রতিযোগিতামূলক আসর থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। পরে ওই ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তারা ‘ষড়যন্ত্র খুঁজে’ পেলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়।
এই মামলায় ফোনকলে আড়িপাতা ও নথি জালিয়াতির দায়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া সামানিওলু মিডিয়া গ্রুপের প্রধান হিদায়েত কারাকাকে ১ হাজার ৪০৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ষড়যন্ত্র ও নথি জালিয়াতির দায়ে সাবেক পুলিশ প্রধান নাজমি আরদিককে ২ হাজার ১৭০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া এই মামলায় আরও অন্তত ২৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১১ সালের ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে তদন্ত কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্র নিবাসী ধর্মীয় বক্তা ফেতুল্লাহ গুলেনকেও জড়ান। তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের অভ্যুত্থানের ছক সাজানোর অভিযোগ করে আসছে তুরস্ক, যা প্রত্যাখান করেছেন গুলেন।
২০১৬ সালে ইস্তাম্বুলের একজন তদন্ত কর্মকর্তা দাবি করেন, ২০১১ সালের ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ আসলে গুলেন সমর্থকদের একটি ষড়যন্ত্র ছিলো। তারা তুরস্কের বিচার ও পুলিশ বিভাগের অভ্যন্তরে ঢুকে ক্লাবের বিরুদ্ধে এবং এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র করে।