নোয়াখালীতে আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার বিকালে নোয়াখালী পৌরসভাসহ সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
শনিবার ভোর ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হলেও তা চলছে ঢিলেঢালাভাবে। তবে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে।
জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার সকালে জেলা শহর মাইজদী থেকে দুরপাল্লার কোনও যানবাহন না ছাড়লেও অভ্যন্তরীণ সড়কে সিএনজি, অটোরিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলতে দেখা গেছে।
শর্তসাপেক্ষে দুইজন যাত্রী নিয়ে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলার কথা থাকলেও বিধিনিষেধ মানছে অনেকেই। দেখা গেছে, সিএনজি ও অটোরিকশাগুলোতে ৪-৫ জন করে যাত্রী চলাচল করছে। তবে শহরের দোকানপাট ও শপিংমলগুলো বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন স্থানে মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। মাস্ক ব্যবহার কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই না মানুষের মাঝে।
লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা দেখা গেছে। বিভিন্ন চেক পোস্টে আইন অমান্য ও স্বাস্থ্য বিধি না মানায় কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা ও যাত্রীকে জরিমানা করতেও দেখা গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, ঈদ পরবর্তী সময়ে জেলায় করোনা সংক্রমণ আগের চেয়ে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
উল্লেখ, নোয়াখালী পৌরসভা ও সদরের ৬টি ইউনিয়নে এক সপ্তারের এই লকডাউন ১১ জুন রাত ১২ট পর্যন্ত চলবে।