দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় স্ত্রীকে জীবন্ত পুঁতে রাখেন স্বামী। উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের বনের পাশে গভীর নলকূপের ড্রেন থেকে পুলিশ বুধবার বিকালে এক নারীর মুখ পোড়া ও অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্বামীকে পুলিশ আটক করে জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য শুক্রবার বিকালে দিনাজপুর আদালতে পাঠিয়েছে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত জানান, উপজেলার নয়ানী খোশালপুর (দরগাপাড়া) গ্রামের উত্তর পাশে গভীর নলকূপের ড্রেনের ভিতর মানুষের হাত দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে জানান। বুধবার বিকালে ওই ড্রেন খুঁড়ে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের মুখমণ্ডল পোড়া ও বিকৃত ছিল এবং শরীরের অন্যান্য অংশ অর্ধগলিত ছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মতিয়ার রহমান জানান, উদ্ধার করা লাশটি নয়ানী খোশালপুর (আদর্শ গ্রামের) মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র আব্দুর রউফের (৪০) চতুর্থ স্ত্রী হাসিনা বেগম ওরফে সুমির (২২)। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আব্দুর রউফকে বৃহস্পতিবার পুলিশ আটক করে।
পুলিশ রউফকে ঘটনাস্থলে নিলে সে উপস্থিত সবার সামনে জানায়, নবাবগঞ্জ উপজেলার খটখটিয়া কৃষ্টপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের মেয়ে সুমির সঙ্গে এক বছর আগে গোপনে তার বিয়ে হয়। কয়েক দিন আগে কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়া সুমি স্বামীর বাড়িতে তুলে নেওয়ার জন্য রউফকে চাপ দিলে তাদের মাঝে বিতণ্ডা বাধে। এতে সুমি নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিলে স্বামী রউফ স্ত্রী সুমিকে হাসপাতালে না নিয়ে গভীর নলকূপের ড্রেনে জীবন্ত সুমিকে পুঁতে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। তবে সুমির সদ্যপ্রসূত কন্যাসন্তানটি কোথায় আছে তা সে জানায়নি।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, ঘাতক স্বামী রউফের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য শুক্রবার বিকালে তাকে দিনাজপুর আদালতে নেওয়া হয়েছে।