ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
‘হতদরিদ্র মমতাজ বেগম পেলেন মাথা গুজার ঠাঁই’
মো. হাবিবুর রহমান
Published : Sunday, 13 June, 2021 at 6:32 PM
‘হতদরিদ্র মমতাজ বেগম পেলেন মাথা গুজার ঠাঁই’কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের দড়িকান্দি রহিমপুর গ্রামের হতদরিদ্র মমতাজ বেগমকে জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়। গতকাল রবিবার দুপুরে থানা কমপ্লেক্সে ওই দলিল হস্তান্তর করেন সামাজিক সংগঠন কালের কন্ঠ শুভসংঘ। দলিল হস্তান্তরের ফলে হতদরিদ্র মমতাজ বেগম পেলেন মাথা গুজার ঠাঁই।
অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চলে তাঁর। এক বেলা খাবার জোটে তো আরেক বেলা জোটে না। অভাবের তাড়নায় বেঁচে থাকাই যেখানে দায়, সেখানে নতুন ঘরের স্বপ্ন তো শুধু মরীচিকা। তবু স্বপ্ন বুনতেন, একদিন একটা ঘর হবে। নিজের বাঁচার একটা ঠিকানা হবে। কিন্তু অভাবের জাঁতাকলে পিষ্ট জীবনে নতুন ঘরের স্বপ্ন দেখা অসম্ভব! মমতাজ বেগম ধরেই নিয়েছিলেন মৃত্যুর আগে তাঁর এই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার নয়।
হতদরিদ্র মমতাজ বেগমের এই দুর্দশা নজরে আসে কালের কন্ঠ শুভসংঘের। বন্ধুরা ঠিক করলেন এই অসহায় মানুষটির পাশে দাঁড়াবেন। মমতাজ বেগমের একটি স্থায়ী ঠিকানা ব্যাবস্থা করে দিবেন।
সেই সুবাদে কালের কন্ঠ শুভসংঘ দিল জায়গা। আর পুলিশ ঘর করে দেয়ার জন্য যাবতীয় মালামাল দিবে। বন্ধুগণ সোয়া দুই শতাংশ জায়গার দলিল হন্তান্তর করতে গেলে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন মরিয়ম বেগম। পাশাপাশি যখন শুনলেন দান করা জায়গায় নির্মিত হবে ঘর, এমন খবরে বাধভাঙ্গা আনন্দ ছিল তাঁর চোখেমুখে। আবেগে দু’চোখ বেয়ে আনন্দ অশ্রু ঝরছিল তার।
মমতাজ বেগমের আশা, বাকিটা জীবন সন্তানদের নিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারবেন। তাঁর একটা পাকা ঘর হবে কল্পনাও কোনদিন করেননি তিনি। মমতাজ বেগমের  মুখে এখন নির্মল আর তৃপ্তির হাসি।
মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আমাদের ইনস্পেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) বেনজির আহমেদের পক্ষ থেকে মমতাজ বেগমকে ঘর নির্মাণ করে দিবো।