শিশু রবিনকে হত্যা করায় ‘অনুতপ্ত’ এএসআই সৌমেন (ভিডিও)
Published : Monday, 14 June, 2021 at 7:31 PM
শিশু রবিনকে হত্যা করায় অনুতপ্ত কুষ্টিয়ায় আলোচিত মা-ছেলেসহ তিন খুনের মামলার একমাত্র আসামি পুলিশের এএসআই সৌমেন রায়। সোমবার আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে তিনি এ অনুতপ্তের কথা জানান।
এর আগে এএসআই সৌমেন রায়কে আদালতে নেয় পুলিশ। সোমবার দুপুর ১টা ১০ মিনিটে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের ডিবি কার্যালয় থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে তাকে আদালতে নেয়া হয়।
কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনামুল হকের আদালতে আসামি সৌমেন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পেশকার এম এ আলীম।
আদালতের একটি সূত্রে জানা যায়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সৌমেন জানান, স্ত্রীর পরকীয়ার জন্য তিনি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে শিশু রবিনকে হত্যা করা ঠিক হয়নি স্বীকার করে, এ ঘটনায় অনুতপ্ত বলে আদালতকে জানান সৌমেন।
এদিকে নিহত আসমা খাতুন, তার ছেলে রবিন ও পরকীয়া প্রেমিক শালিক খানের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত তিন জনের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে রোববার রাত ১২টার পর স্ব স্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শাকিলের লাশ তার বাবা মেজবা রহমানের কাছে এবং আসমা খাতুন ও তার ছয় বছর বয়সী ছেলের লাশ মা হাসিনা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতদের পারিবারিক সূত্র জানায়, বাদ জোহর নিহত আসমা খাতুন ও তার ছেলে রবিনের জানাজা শেষে নিজ গ্রাম কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের নাতুড়িয়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে। অন্যদিকে নিহত শাকিল খানের নিজ গ্রাম কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সাঁওতা কারিগর পাড়া গ্রামের মেছের উদ্দিন দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় বাদ জোহর জানাজা শেষে সাঁওতা কারিগর পাড়া গোরস্থানে দাফন করা হবে।
এই তিন হত্যার ঘটনায় খুলনা ফুলতলা থানার এএসআই সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামি করে রোববার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।