স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্যাট্রিক শিকের দুরন্ত গোলটি নিয়ে ঘোর যেন কাটছেই না। ম্যাচের ৫২ মিনিটে করা এ গোলটিকে ইউরোর ইতিহাসের অন্যতম বিস্ময়কর গোলের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।
প্রথমে বলা হয়েছিল, ৫০ (৪৯.৭) গজ দূর থেকে গোলটি করা হয়েছে। পরে জানানো হয়, দূরত্ব আসলে ৫৪ গজ। পুরুষ ও নারী বিশ্বকাপ এবং ইউরো মিলিয়ে এত দূর থেকে গোল করার নজির আছে কেবল একটি। ২০১৫ সালে জাপানের বিপক্ষে নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের কার্লি লয়েড ৫৪ গজ দূর থেকে গোল করেছিলেন।
ম্যাচ শেষে চেক প্যাট্রিক শিকের কাছে বিবিসি জানতে চায়, কী মনে করে এত দূর থেকে শট করে বসলেন তিনি। জবাবে চেক প্রজাতন্ত্রের এই স্ট্রাইকার বলেন, 'আমি তাকে (স্কটল্যান্ডের গোলরক্ষক ডেভিড মার্শাল) গোললাইন থেকে বেশ সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলাম। প্রথমার্ধে তাকে এতটা এগিয়ে থাকতে দেখে অপেক্ষা করছিলাম কখন আবার এমন পরিস্থিতি আসবে। যখন বল আমার কাছে আসলো, আমি কেবল চট করে দেখলাম সে কোথায় এখন। এরপরই চেষ্টা করি।'
ম্যাচের ৫২ মিনিটে স্কটিশ ডিফেন্ডার হেন্ডরির দূরপাল্লার শট চেক মিডফিল্ডার সুচেকের গায়ে লেগে চলে আসে মাঝমাঠে থাকা শিকের কাছে। বলটি ধরেই সামনের দিকে ছুট দেন তিনি। কিন্তু স্কটিশ গোলরক্ষক মার্শালকে এগিয়ে থাকতে দেখে প্রায় মাঝমাঠ থেকে পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন শিক। শটের গতিপথ দেখে বিপদ আঁচ করতে পেরে পেছানো শুরু করেছিলেন গোলরক্ষক। কিন্তু পড়িমড়ি করে ফিরেও বলকে জালে যাওয়া থেকে আটকাতে পারেননি তিনি।
চেক রিপাবলিকের কোচ সিলভা জানিয়েছেন, অনুশীলনে প্রায়ই এমন শট করেন শিক। কোচ বলেন, 'আমরা জানি সে দুর্দান্ত প্রতিভা, কীভাবে ফিনিশিং দিতে হয় তা সে জানে। তবে দ্বিতীয় গোলটি ধারণার বাইরে। অনুশীলনে সে প্রায়ই এমন চেষ্টা করে।'
তবে এই গোলের জন্য গোলকিপারকে দায়ী করতে রাজি নন স্কটল্যান্ডের কোচ ক্লার্ক, 'সে (মার্শাল) গোললাইনে থাকলে হয়তো বলটি ধরতে পারত। তবে এমন একটি গোলের পর স্কোরারের প্রশংসা করা উচিত। এমন অপূর্ব ফিনিশিং সাধারণত চোখে পড়ে না।'