বরগুনার আমতলী উপজেলায় ফুটবল খেলার মাঠে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় আমতলী উপজেলা চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সকালে তানভীরের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মৃত কিশোরের নাম তানভীর তালুকদারের (১৭)। সে আমতলী সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও পশ্চিম চিলা গ্রামের সোহাগ তালুকদারের ছেলে।
জানা গেছে, বুধবার বিকালে উপজেলার চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় কিশোর ও যুবকরা মিলে ফুটবল খেলার আয়োজন করে। ওই খেলায় ২২ খেলোয়াড়ের মধ্যে তানভীর তালুকদার একজন।
খেলার প্রায় শেষ মুহূর্তে খেলোয়াড় তানভীর দৌড়ে ফুটবলে সজোরে কিক দেয়। ওই সময়ে তার কোনো প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় ছিল না— এমন দাবি ওই মাঠের খেলোয়াড় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের।
তাদের দাবি, ফুটবলে কিক (ধাক্কা) দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঁপতে কাঁপতে তানভীর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক মাঠের অন্য খেলোয়াড়রা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় খেলোয়াড় মেহেদী হাসান ও শাহীন বলেন, ফুটবলে সজোরে কিক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তানভীর কাঁপতে কাঁপতে মাঠে লুটিয়ে পড়ে।
স্থানীয় নিজাম বিশ্বাস ও সাইদুল বিশ্বাস বলেন, তাৎক্ষণিক তানভীরকে আমরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তারভীরকে মৃত ঘোষণা করেন।
তানভীরের বাবা মো. সোহাগ তালুকদার কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, ফুটবল খেলতে গিয়ে মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়ে তানভীর। এতেই ও মারা গেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোনায়েম সাদ বলেন, হাসপাতালে আনার আগে তানভীরের মৃত্যু হয়েছে।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তানভীরের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।