দেশে
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এক দিনে আরও ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ৪৫
দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে এক দিনে এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল
সর্বশেষ গত ৩ মে। সেদিন করোনাভাইরাসে ৬৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর বুধবার মৃত্যু হয়েছিল ৬০ জনের।
গত এক দিনে কেবল
খুলনা বিভাগেই ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, রাজশাহীতে মারা গেছেন ১৩ জন। সব
মিলিয়ে দেশে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ হাজার ৩৪৫ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩ হাজার ৮৪০
জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে সামান্য
কম। বুধবার দেশে ৩ হাজার ৯৫৬ জন নতুন রোগী শানাক্ত হয়েছিল।
নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ৪১ হাজার ৮৭ জন হয়েছে।
সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ২ হাজার ৭১৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬৬ জন।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা আট লাখ পেরিয়ে
যায় গত ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার
৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮
মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১
জুন তা ১৩ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর
খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১৭ কোটি ৭০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি মানুষের।
করোনাভাইরাসের
অতি সংক্রামক নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার সামাজিক বিস্তার বা কমিউনিটি
ট্রান্সমিশনের কারণে জুনের শুরু থেকে দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে
যাওয়ায় সারাদেশে লকডাউনের বিধিনিষেধ এক মাসের জন্য বাড়িয়েছে সরকার।
ঢাকা
মহানগরীসহ জেলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা সারা দেশে
সর্বোচ্চ। এছাড়া রাজশাহীতে ৩৩৪ জন, দিনাজপুরে ২৭৫ জন, যশোরে ২০৩ জন,
খুলনায় ১৮১ জন এবং চট্টগ্রাম জেলায় ১৬৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে গত ২৪
ঘণ্টায়।
বিভাগওয়ারি হিসেবে ঢাকা বিভাগে গত এক দিনে ১৩২৮ জনের মধ্যে
সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা সারা দেশে মোট শনাক্তের ৩৫ শতাংশ। আগের দিন ঢাকা
বিভাগে শনাক্ত হয়েছিল মোট ১৫৭৯ জন, তাদের ১ হাজার ১৩৫ জনই ছিলেন
রাজশাহীতে
দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭১২ জন থেকে বেড়ে ৮১৩ জন হয়েছে। খুলনা বিভাগে
গত এক দিনে শনাক্ত হয়েছে ৮১৮ জন নতুন রোগী, যা আগের দিন ৮০০ জন ছিল।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫২৮টি ল্যাবে ২৪ হাজার ৮৭১টি
নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৬৫৭টি
নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৪
শতাংশ। আগের দিন এই হার ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ ছিল। এক দিনের বিবেচনায় শনাক্তের
হার সামান্য কমলেও গত কয়েক দিন ধরেই এই হার ১৫ শতাংশের বেশি থাকছে।
দেশে
এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায়
সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
ঢাকা
বিভাগে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আগের দিনের ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ থেকে
কমে ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ হয়েছে। রাজশাহী বিভাগে ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমে ১৫
শতাংশ এবং খুলনা বিভাগে ৪০ শতাংশ থেকে কমে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু
চট্টগ্রামে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে।
গত এক
দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২০ জন খুলনা বিভাগের, ১৩ জন রাজশাহী বিভাগের,
১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১০ জন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এছাড়া বরিশাল বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন করে কোভিড রোগীর মৃত্যুর খবর এসেছে।
তাদের মধ্যে ৪৫ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী। তাদের ৪৬ জন সরকারি হাসপাতালে, ৯ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। বাসায় মারা যান ৮ জন।
মৃতদের
মধ্যে ৩১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের
মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের
মধ্যে, ১ জনের ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের
মধ্যে ছিল।৪৫ দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এক দিনে আরও ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ৪৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর
আগে এক দিনে এর চেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছিল সর্বশেষ গত ৩ মে। সেদিন
করোনাভাইরাসে ৬৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর বুধবার
মৃত্যু হয়েছিল ৬০ জনের।
গত এক দিনে কেবল খুলনা বিভাগেই ২০ জনের মৃত্যু
হয়েছে, রাজশাহীতে মারা গেছেন ১৩ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা
বেড়ে ১৩ হাজার ৩৪৫ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল
পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩ হাজার ৮৪০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ
ধরা পড়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে সামান্য কম। বুধবার দেশে ৩ হাজার ৯৫৬ জন
নতুন রোগী শানাক্ত হয়েছিল। নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর
সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ৪১ হাজার ৮৭ জন হয়েছে।
সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ২ হাজার ৭১৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬৬ জন।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা আট লাখ পেরিয়ে
যায় গত ৩১ মে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার
৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮
মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১
জুন তা ১৩ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর
খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১৭ কোটি ৭০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি মানুষের।
করোনাভাইরাসের
অতি সংক্রামক নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার সামাজিক বিস্তার বা কমিউনিটি
ট্রান্সমিশনের কারণে জুনের শুরু থেকে দৈনিক শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে
যাওয়ায় সারাদেশে লকডাউনের বিধিনিষেধ এক মাসের জন্য বাড়িয়েছে সরকার।
ঢাকা
মহানগরীসহ জেলায় ১ হাজার ১৩৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা সারা দেশে
সর্বোচ্চ। এছাড়া রাজশাহীতে ৩৩৪ জন, দিনাজপুরে ২৭৫ জন, যশোরে ২০৩ জন,
খুলনায় ১৮১ জন এবং চট্টগ্রাম জেলায় ১৬৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে গত ২৪
ঘণ্টায়।
বিভাগওয়ারি হিসেবে ঢাকা বিভাগে গত এক দিনে ১৩২৮ জনের মধ্যে
সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা সারা দেশে মোট শনাক্তের ৩৫ শতাংশ। আগের দিন ঢাকা
বিভাগে শনাক্ত হয়েছিল মোট ১৫৭৯ জন, তাদের ১ হাজার ১৩৫ জনই ছিলেন
রাজশাহীতে
দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭১২ জন থেকে বেড়ে ৮১৩ জন হয়েছে। খুলনা বিভাগে
গত এক দিনে শনাক্ত হয়েছে ৮১৮ জন নতুন রোগী, যা আগের দিন ৮০০ জন ছিল।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫২৮টি ল্যাবে ২৪ হাজার ৮৭১টি
নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৬৫৭টি
নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৪
শতাংশ। আগের দিন এই হার ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ ছিল। এক দিনের বিবেচনায় শনাক্তের
হার সামান্য কমলেও গত কয়েক দিন ধরেই এই হার ১৫ শতাংশের বেশি থাকছে।
দেশে
এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায়
সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
ঢাকা
বিভাগে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আগের দিনের ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ থেকে
কমে ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ হয়েছে। রাজশাহী বিভাগে ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমে ১৫
শতাংশ এবং খুলনা বিভাগে ৪০ শতাংশ থেকে কমে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু
চট্টগ্রামে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে।
গত এক
দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২০ জন খুলনা বিভাগের, ১৩ জন রাজশাহী বিভাগের,
১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১০ জন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এছাড়া বরিশাল বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন করে কোভিড রোগীর মৃত্যুর খবর এসেছে।
তাদের মধ্যে ৪৫ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী। তাদের ৪৬ জন সরকারি হাসপাতালে, ৯ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। বাসায় মারা যান ৮ জন।
মৃতদের
মধ্যে ৩১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের
মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের
মধ্যে, ১ জনের ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের
মধ্যে ছিল।