ঘটনার শুরুটা করেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সংবাদ সম্মেলনে এসে টেবিল থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন কোকা-কোলার বোতল। তার পথ ধরে এর পর পগবা ও লোকাতেল্লি ইউরোর স্পন্সরদের বোতল সরানো শুরু করলে ভাবনায় পড়তে বাধ্য হয় উয়েফা। কারণ এই স্পন্সরদের কাছ থেকেই আসে ইউরোর মূল রাজস্ব।
তাই অংশ নেওয়া ২৪টি দলকে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে, কৌশলগতভাবে রাখা এসব বোতল সরানো ফুটবলারদের বন্ধ করতে হবে। এরই মধ্যে দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর মার্টিন ক্যালেন। তিনি বলেছেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ স্পন্সরদের কাছ থেকে আসা রাজস্ব টুর্নামেন্ট ও ইউরোপীয় ফুটবলের জন্য গুরুত্ব বহন করে।’
মূলত বড় ক্ষতিটা হয়েছে রোনালদোর কাণ্ডে। হাঙ্গেরির বিপক্ষে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনের সময় কোকা-কোলার বোতল দৃষ্টির সীমানার বাইরে রেখে দেন। তখন পানির বোতল উঁচিয়ে ধরে মন্তব্য করেন ‘পানি পান করুন’। রোনালদোর ওই একটি কথার প্রভাবে কোকা-কোলার ব্র্যান্ড মূল্য ৪০০ কোটি ডলার কমে গেছে বলে দাবি করা হয়।
এর পর ফ্রান্সের মুসলিম মিডফিল্ডার পল পগবা জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচের পর টেবিল থেকে সরিয়ে নেন হেইনেকেন বিয়ারের বোতল। তিনি মূলত ধর্মীয় বিধিনিষেধে এ কাজটি করেছিলেন। সর্বশেষ বুধবার ঘটনাটি ঘটান ইতালির মিডফিল্ডার লোকাতেল্লি। সুইজারল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে তিনিও কোকা-কোলার বোতল সরিয়ে পানির বোতল সামনে রাখেন।
অবশ্য এসব ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিধি-নিষেধের বিষয়টি বিবেচনায় রাখছেন ইউরোর টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর। ক্যালেন বলেছেন, যেসব খেলোয়াড়দের ধর্মীয় বিধি-নিষেধ আছে তাদের বেলায় বোতল রাখার প্রয়োজন নেই।