ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি ইব্রাহিম রাইসি। তাকে নিয়ে গভীর আতঙ্ক বিরাজ করছে ইসরাইলে।
তাদের এ আতঙ্কের মূল কারণ— ইরানের পরমাণু কর্মসূচি। ইসরাইলের ধারণা, ইব্রাহিম রাইসি দেশটির পরমাণু কর্মসূচিকে আরও বেগবান করবেন।
ইহুদিবাদী দেশটির দাবি— ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও তার নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ জানানো উচিত। খবর বিবিসির।
ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হাইয়াত বলছেন, ইব্রাহিম রাইসি এ যাবৎকালের ইরানের সবচেয়ে কট্টরপন্থি প্রেসিডেন্ট। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ইরানের নতুন এই নেতা হয়তো দেশটির পরমাণু কার্যক্রম আরও বাড়ানোর পাশাপাশি গতিশীল করবেন।
এক টুইটবার্তায় ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেন, ইব্রাহিম রাইসি একজন কট্টরপন্থি। তিনি ইরানের সামরিক শক্তি বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরমাণু কর্মসূচি এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।
এদিকে নির্বাচনে জয়ের পর দেওয়া এক বিবৃতিতে সরকারের ওপর জনগণের বিশ্বাস বাড়ানোর প্রতিজ্ঞা করেন রাইসি। এ ছাড়া সমগ্র জাতির প্রেসিডেন্ট হিসেবেও কাজ করার অঙ্গীকার করেন তিনি।
নির্বাচনে জয়লাভের পর এখন একটি পরিশ্রমী, বিপ্লবী এবং দুর্নীতিবিরোধী সরকার প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়েছেন ইব্রাহিম রাইসি।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইব্রাহিম রাইসি ৬১ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। মাত্র ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। ইব্রাহিম রাইসি দুই কোটি ৮৯ লাখ ৩৩ হাজার ৪ ভোট পেয়েছেন।
এ ছাড়া রাইসির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ লাখ ১২ হাজার ৭১২ ভোট পেয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজাই। তৃতীয় স্থানে থাকা মধ্যপন্থি আব্দুল নাসের হেমাতি ২৪ লাখ ৭ হাজার ২০১ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া রক্ষণশীল প্রার্থী আমির হোসেইন গজিজাদেহ হাশেমী পেয়েছেন ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭১৮ ভোট।