ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বড়সড় ধাক্কা খেলেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। আঞ্চলিক নির্বাচনের প্রথম দফায় রীতিমতো নাকানি চুবানি খেয়েছে ম্যাক্রোঁর দল লা রিপাবলিক এন মার্চ (এলআরইএম)।
ভরাডুবি হয়েছে প্রধান বিরোধী নেতা মেরিন লি পেন ও তার দলেরও। ভোটের পর বুথফেরত জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। খবর বিবিসির।
সম্প্রতি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মন্তব্য ও ইসলামবিরোধী আইন করে বিতর্কের মুখে রয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। এখন তার জনপ্রিয়তাও কমে গেছে।
স্থানীয় নির্বাচনের প্রথম ধাপে তার দল পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো ভোট পাচ্ছে না। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ২৭ জুন দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে ম্যাক্রোঁর মন্ত্রিসভার ১৫ জন মন্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু প্রথম দফার নির্বাচনে খুব একটা ভালো করেননি তারা।
বুথফেরত জরিপে দেখা গেছে, ম্যাক্রোঁর দল ১০.৪ শতাংশ ভোট পাবে। আর মেরিন লি পেনের ন্যাশনাল র্যালি পার্টি পাবে ১৯.৪ শতাংশ ভোট। সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে মধ্য ডানপন্থি লেস রিপাবলিকান ২৮.৭ শতাংশ ভোট।
এই জরিপ প্রকাশের পর ম্যাক্রোঁর দলের এক আইনপ্রণেতা ওহ বের্গ বলেন, এটা ছিল চপেটাঘাত। ভোটের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকতে পারে লি পেনের দল ন্যাশনালিস্ট র্যালি পার্টি। যদিও ধারণা করা হচ্ছিল, এ নির্বাচনে শীর্ষে থাকবে তার দল। এ ছাড়া অন্তত একটি অঞ্চলে তার দল জয়লাভ করবে; কিন্তু তা হয়নি।
ফ্রান্সের এ স্থানীয় নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গেই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কারণ এক বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে এই ভোটের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সে ভোটারদের মনোভাব বোঝা যাচ্ছে।
ফ্রান্সভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইপসসের জরিপ অনুসারে ম্যাক্রোঁর দল এলআরইএম ভোট পেতে পারে ১২ শতাংশ, লেজ রিপাবলিকান পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট পেতে পারে ২৭ শতাংশ, লি পেনের দল পেতে পারে ১৯ শতাংশ। এরপর পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে গ্রিন পার্টি ও সোশ্যালিস্ট পার্টি।