সীমান্তবর্তী এলাকা দিনাজপুরের হিলিতে করোনা সংক্রামণের হার না কমায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৮ জুন সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত এই কঠোর বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকবে। সোমবার দুপুরে হাকিমপুর উপজেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি বৈঠকে এই সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় গৃহীত সিন্ধান্তগুলো হলো– কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানসহ সব ধরনের দোকান কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এ সময়ে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘোরাফেরা করতে পারবেন না। হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অর্ধেক আসনে বসে খাওয়াতে পারবে। এর পরে শুধু পার্সেল খাবার বিক্রি করতে পারবে। বিকাল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হলে চালকের পেছনে কাউকে বহন করা যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে চলাচলের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এছাড়া সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে হবে। নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন মনিটরিং করা হবে। মেডিক্যাল টিম দ্বারা প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে সন্দেহভাজনদের করোনা পরীক্ষার নমুনা গ্রহণ, করোনা আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন, একই সঙ্গে তিনটি স্বেচ্ছাসেবক দল দিয়ে হিলির প্রবেশমুখে বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ, ভারত থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষে অ্যান্টিজেন টেস্টের ফল নেগেটিভ হলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন– হাকিমপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শরিফ আল রাজীব, উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান, হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ, হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন, হিলি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক আরমান আলীসহ অনেকে।