ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
গৃহহীনদের জন্য নতুন ঘর সরকারের অনন্য উপহার
Published : Tuesday, 22 June, 2021 at 12:00 AM
গৃহহীনদের জন্য নতুন ঘর সরকারের অনন্য উপহার‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এই ঘোষণা বাস্তবায়নে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে ৬৯ হাজার ৯০৪টি পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছিল। গতকাল রবিবার দ্বিতীয় পর্যায়ে একসঙ্গে ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপের এসব পরিবারকে দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন তাঁর সৃষ্ট বাংলাদেশে একটি মানুষ ভূমিহীন থাকবে না এটাই তাঁর ল্য। এই নীতি নিয়েই তিনি চলছেন, চলবেন।
আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরো এক লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনা মূল্যে জমিসহ ঘর দেওয়ার ল্েয কাজ চলছে। স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে এটি হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সারা দেশে দুই শ্রেণিতে আট লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা ধরে পর্যায়ক্রমে ঘর দেওয়া শুরু করেছে সরকার। শেখ হাসিনা প্রথম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব-অসহায় মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বর্তমান উদ্যোগে প্রায় ৯ লাখ পরিবার ঘর পাচ্ছে। প্রতিটি ঘরে পাঁচ ফুটের একটি বারান্দা, দুটি বেডরুম, একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেট থাকবে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। ঘরের ওপর থাকবে টিনের ছাউনি। দেয়াল ও ফোর হবে ইটের। যারা জমি ও ঘর দুটিই পাচ্ছে তারা প্রায় আড়াই থেকে পৌনে তিন লাখ টাকার সুবিধা পাচ্ছে। আর যারা শুধু ঘর পাচ্ছে তাদের জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় দুই লাখ টাকা। যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের সুযোগ আছে সেসব এলাকায় ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হচ্ছে। এর আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন উদ্যোগে হস্তান্তর করা হয়েছে প্রায় পৌনে দুই লাখ ঘর ও ফ্যাট। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই উদ্যোগে উপকারভোগী পরিবার দাঁড়াবে পৌনে ১১ লাখ। প্রতি পরিবারে গড়ে পাঁচজন হিসেবে উপকারভোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৫৪ লাখ। সরকার অসহায়, ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিণও দেবে।
এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা আশা করি, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর প্রচেষ্টা আরো জোরদার হবে।