Published : Wednesday, 23 June, 2021 at 12:00 AM, Update: 23.06.2021 12:54:38 AM
রণবীর
ঘোষ কিংকর: করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্টসহ সংক্রমণ রোধে মঙ্গলবার ভোর
থেকে রাজধানী ঢাকায় দূরপাল্লার সকল গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছে
হাজারও যাত্রী।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সোমবার সন্ধ্যার সিদ্ধান্তে মঙ্গলবার
ভোর ৬টা থেকে রাজধানী ঢাকা ঘিরে সাতটি জেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণার পাশাপাশি
দূলপাল্লার গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা অনেকেরই ছিল অজানা।
মঙ্গলবার সকাল
৬টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের বিভিন্ন এলাকায় চেক পোস্ট
করে হাইওয়ে পুলিশ। তারা ঢাকাগামী দূরপাল্লার সকল গণপরিবহনের গতিরোধ করে
ফিরিয়ে দেন। এসময় কিছুযাত্রী বাসে করে উল্টো ফিরে গেলেও অধিকাংশ যাত্রীই
বাস থেকে নেমে যায়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিদেশগামী
যাত্রীসহ রোগীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী
পরিবহনের চালক দিদারুল আলম জানান- রাত ১টায় যখন চট্টগ্রাম থেকে রওয়ানা হই
তখন বিষয়টি শুনি নাই। ভোর ৫টায় পদুয়ারবাজারে যখন যাত্রী বিরতি নেই তখন
শুনতে পাই। তখন বাসে ১৮জন যাত্রী। তাদেরকে কোথায় নামাবো? ভেবেছিলাম দ্রুত
ঢাকায় পৌঁছে গাড়ি রেখে দিবো। কিন্তু পারলাম না।
যাত্রী ইয়াছিন আহমেদ,
কামরুজ্জামানসহ আরও অন্যান্যরা জানান- সরকার দিন ও সময় নির্ধারণ করে ২/৩
দিন আগে ঘোষণা করলে আমরাও বের হতাম না। আমরা জানতেও পাইনি ঢাকার প্রবেশ পথ
বন্ধের ঘোষণা।
রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী জানান- আমি পরিবার নিয়ে
ঢাকায় থাকি। শুক্রবার চট্টগ্রাম বেড়াতে গিয়েছিলাম। এখন আমাদের বাস থেকে
নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবার নিয়ে এখন আমি কোথায় যাব বা বাসায় ফিরবো কিভাবে
সে বিষয়টি কেউ একটি বারও চিন্তা করেনি।
হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং
থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আনিছুর রহমান জানান- সোমবার সন্ধ্যায়
নির্দেশনা পেয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ইলিয়াটগঞ্জ ফাঁড়ি ও ময়নামতি হাইওয়ে
থানা পুলিশ যৌথ ভাবে চান্দিনার কাঠেরপুলে চেক পোস্ট করে ঢাকাগামী
দূরপাল্লার বাস আটকে দেই। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
যাত্রীদের
দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন- অনেক যাত্রী না জানলেও সোমবার রাতে
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব গণমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তাতে পরিবহন মালিক ও চালকরা জানার কথা। তারপরও সরকারি নির্দেশনা মেনেই
আমাদের কাজ করতে হচ্ছে।