ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
লালমাইয়ে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানুষ
Published : Thursday, 24 June, 2021 at 12:00 AM
প্রদীপ মজুমদার:  কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা। অপরদিকে আকাশে মেঘ দেখলেই বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে কখন ফিরবে তার নিশ্চয়তা নেই। দিন-রাত ইচ্ছে মতো সময়ে অসময়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া এখন বিদ্যুৎ অফিসের নিয়মে পরিণত হয়েছে।
বর্তমান সময়ে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে উপজেলায় ৭০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ গ্রাহক। এরপর আবার লোডশেডিং যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যুতের এমন আচরণে রাতের বেলা একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারছেন না গ্রাহকরা। শিক্ষার্থীরা রাতের বেলা ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছে না। শুধু তাই নয়, প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি কল-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, ব্যাংকিং সেবা, শিক্ষা ও গৃহস্থালির কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা। সন্ধ্যার পর পরই উপজেলার প্রায় অধিকাংশ গ্রাম ও হাটবাজারে বিদ্যুৎ না থাকায় জনশূন্য হয়ে পড়ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ফ্রিজ, মোটর, কম্পিউটার, বাল্বসহ যান্ত্রিক ও ইলেকট্রিক সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে রাতে চার্জ দিতে না পারায় উপজেলার অসংখ্য ইজিবাইক চালকরাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
দিন-রাত যে কতবার বিদ্যুৎ আসে যায় তা হিসেব পাওয়া যায় না। এই আছে তো এই নেই। বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলাকে স্থানীয়রা মিসকল নাম দিয়েছেন। এক দিনের নয়, নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভোগান্তি। বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক মাহবুবুর রহমান মজুমদার বলেন, আমাদের এখানে প্রায় ৬ মাস ধরে বিদ্যুতের এমন সমস্যা। বিশেষ করে দিনে ৭/৮ বার বিদ্যুৎ যায় আসে। রাতে ঠিক মতো ঘুমাতে পারি না।

বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের আজবপুর গ্রামের গ্রাহক মোহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, বিদ্যুতের সম্প্রতি লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এতে ফ্রিজে পানি ঝরা সহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে তো আমাদের আর গতি নেই।
হরিশ্চর চৌরাস্তা বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী দেলোয়ার  মিয়া বলেন, সারা দিনে বিদ্যুতের কতবার আসে আর যায় তার হিসেব নেই। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ না থাকাতে বাজারে মানুষ থাকে না। আমরা এর একটা সুষ্ঠু সমাধান চাই।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হলে লালমাই  উপজেলার দায়িত্বে থাকা কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাগমারা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিদ্যুতের যে চাহিদা সে অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। এছাড়া বিভিন্ন লাইনে কাজ চলছে। গরম কমে গেলে বিদ্যুতের লোডশেডিং কমে যাবে।