আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটবোন রোকেয়া বেগমের (৫৫) বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলার প্রতিবাদে তার দুই বোন রাস্তায় নেমে আরেক ভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
রোকেয়া বেগম কাদের মির্জার ছোটবোন এবং কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাতের মা। আর তাহেরা বেগম (৬৯) কাদের মির্জার বড়বোন এবং তার প্রতিপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জুর মা।
বুধবার (২৩ জুন) রাতে বসুরহাট থানার সামনের সড়কে কাদের মির্জার বড়বোন তাহেরা বেগম (৬৯) ও ছোটবোন রোকেয়া বেগম (৫৫) উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুসারী নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এসময় তারা কাদের মির্জার অনুসারীদের নেতৃত্বে ছোটবোন রোকেয়া বেগমের বাসায় হামলার প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের থানার পোল সংলগ্ন সেতুমন্ত্রীর বোনের বাসভবন এইচ আর ভবনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
সেতুমন্ত্রীর ছোটবোন রোকেয়া বেগম অভিযোগ করেন, কাদের মির্জার অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছে। সে এখন কোম্পানীগঞ্জের গডফাদার। পুলিশ তাকে প্রোটেকশন দিচ্ছে। সে বিশাল ক্ষমতাধর। মির্জাবাহিনী বাসায় হামলা করে আমার ছেলে রাহাতকে খুঁজতে থাকে। আমি তাদেরকে বলি আমি মন্ত্রীকে ফোন দিচ্ছি। তারা বলে, মন্ত্রী কী করবে? এ সময় হামলাকারীরা বাসায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে একটি ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
সেতুমন্ত্রীর ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত বলেন, কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জেরে কাদের মির্জার অনুসারী কেচ্ছা রাসেলের নেতৃত্বে আমার বাসায় হামলা করা হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, এ ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও অনুসারী জড়িত নয়। আমি শান্ত আছি। আমাকে উত্তেজিত করার জন্য এসব করা হচ্ছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, শুনেছি কয়েকজন লোক এসে বাসার গেটে লাথি মেরে গালমন্দ করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।