মোহামেডান-আবাহনীর আগের দ্বৈরথ ছিল জমজমাট। কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে দুই দলের ধুন্ধমার লড়াই শেষ হয়েছিল ২-২ গোলে। আর এবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরতি ম্যাচের ফল ১-১।
স্বাস্থ্যবিধির কারণে ম্যাচটি হয়েছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। দেশের দুই জনপ্রিয় ক্লাবের ম্যাচটি স্টেডিয়ামে বসে দেখতে পারেনি দর্শক, এমন কি টেলিভিশনে সম্প্রচারও হয়নি। বলতে গেলে নীরবেই হয়ে গেল দেশের ঐতিহ্যবাহী দুই দলের ম্যাচটি। কুমিল্লার মতো ম্যাচটি জমেনি এবার।
এই ম্যাচের ফল শিরোপা নির্ধারণে প্রভাব নেই। নাটকীয় কিছু না ঘটলে আবাহনী বা মোহামেডানের কারও পক্ষেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া সম্ভব নয়। তবে রানার্সআপ লড়াইয়ে থাকতে ম্যাচটি মহাগুরুত্বপূর্ণ ছিল দুই দলের জন্যই।
না জিতলেও আবাহনীর জন্য স্বস্তির খবর হলো প্রতিদ্বন্দ্বি মোহামেডানের সঙ্গে তাদের দূরত্বটা আগের মতোই থাকল। জয়টা বেশি প্রয়োজন ছিল মোহামেডানেরই, টেবিলে নিজেদের অবস্থান ওপরে তোলার জন্য।
ম্যাচের শুরুটা ভালই ছিল মোহামেডানের। প্রাধান্য বজায় রেখে দলটি এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু ক্যামেরুনের ইয়াসানের করা ৩০ মিনিটের গোলে এগিয়ে গিয়েও তা ধরে রাখতে পারেনি শন লেনের দল। মোহামেডানের গোলরক্ষক আর ডিফেন্ডারদের সমন্বয়হীনতার সুযোগে আবাহনীকে ম্যাচে ফেরান হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট।
বিরতির পর মোহামেডানকে চেপে ধরেছিল আবাহনী। একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠে সাদাকালোদের রক্ষণভাগ। কিন্তু সানডে, বেলফোর্টরা কাজের কাজটি করতে পারেননি। প্রথমার্ধে জিততে চাওয়া মোহামেডান দ্বিতীয়ার্ধে নেয় আবাহনীকে ঠেকানোর কৌশল। সে কৌশলে তাদের জয়ই হয়েছে।
এ ড্রয়ে দুই দলের ঝুলিতে যোগ হলো এক পয়েন্ট করে। তাতে টেবিলে অবস্থান পরিবর্তন হয়নি কারও। ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আবাহনী, ২৯ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে মোহামেডান।