‘রাজাখারচর’ দেবিদ্বার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের একটি গ্রাম। এ গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫শ’। এদের মধ্যে ভোটার রয়েছে ৩০০। এ গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই ভাসমান ও শ্রমজীবি। এদের কেউ কেউ সরকারি খাস জায়গায় জরার্জিণ ঝুপড়ি ঘর তুলে বসবাস করছেন। আবার কেউ কেউ নিজের এক টুকরো জমিতে ঝুপড়ি ঘর তুলেছেন। গত কয়েক মাস আগেও এ বাসিন্দাদের চলাচলের কোন রাস্তা ছিলনা। স্থানীয় কাউন্সিলর আবদুল কাদেরের সহযোগিতায় মরিচাকান্দা খাল খনন করে এর পাশ দিয়ে একটি কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করে দেয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। রির্টানিং ওয়াল না থাকায় রাস্তাটিও কোন কোন অংশ ভেঙে পড়েছে খালের ভিতর। ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ রাস্তা সংস্কার করলেও তা খুবই সামান্য। শুক্রবার রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এ গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরগুলো একটার সাথে আরেকটা লাগানো। ঘনবসতি এ এলাকার মানুষ ভোগছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও। রাজাখার চরের একজন বাসিন্দা মো. মালু মিয়া (৬৩)। পরিবার পরিজন নিয়ে থাকেন একটি ছোট্ট জরাজির্ণ ঝুপড়ি ঘরে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ভোর হতেই কাজের সন্ধানে বের হতে হয়, কোন দিন কাজ জুটে আবার কোন দিন জুটে না। স্ত্রী সন্তান অভাব অনটনের সংসার। এখানের বেশিভাগ মানুষ ঘাম বিক্রি করে টাকা রোজগার করে। পৌরসভা হলেও রাস্তাঘাট, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশনের খুব অভাব রয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার রাতে রাজাখারচরের মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা নিয়ে হাজির হয়েছেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। তিনি একে একে প্রায় ৪০টি ঘরে গিয়ে তাঁদের খোঁজ খবর নেন এবং তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা দেন। স্থানীয় কাউন্সিলর আবদুল কাদের বলেন, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, রাস্তাঘাটসহ নানা সমস্যায় অবহেলিত এ রাজাখারচর গ্রাম। এখানের বেশির ভাগ মানুষই ভাসমান শ্রমজীবি। সামান্য বৃষ্টি হলেই কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে কাঁচা রাস্তাটি। প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য তহবিল থেকে ৪০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান বলেন, রাজাখারচর এলাকা পৌরসভার একটি ওয়ার্ড। সরকারিভাবে বরাদ্দ পেলে ওই এলাকাকে উন্নয়নের আওতায় আনা হবে।