বিশেষ
সংবাদদাতা: মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল
ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস সারাদেশে আরও ১৮৫ জনের প্রাণ
কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ১৮৯
জনে।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও আট
হাজার ৭৭২ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ নয় হাজার ৩১৫
জনে। এ নিয়ে টানা চার দিন পর শনাক্ত ১০ হাজারের নিচে নামল।
এর আগে
সর্বশেষ গত ৫ জুলাই (সোমবার) শনাক্ত রোগী ১০ হাজারের নিচে ছিল, সেদিন
আক্রান্ত হয়েছিল নয় হাজার ৯৬৪ জন। এরপর ৬ জুলাই (মঙ্গলবার) ১১ হাজার ৫২৫
জন, ৭ জুলাই (বুধবার) ১১ হাজার ১৬২ জন, ৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ১১ হাজার ৬৫১
জন এবং ৯ জুলাই (শুক্রবার) ১১ হাজার ৩২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
শনিবার
(১০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা.
নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা
হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৬১৩টি ল্যাবরেটরিতে ২৬ হাজার ২৩৯টি
নমুনা সংগ্রহ ও ২৭ হাজার ৮৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা
পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ১৫২টি।
নমুনা পরীক্ষার তুলনায়
শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের
হার ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৭৫৫
জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন আট লাখ ৬৮ হাজার ১৩৯ জন।
শেষ ২৪ ঘণ্টায়
মারা যাওয়া ১৮৫ জনের মধ্যে ১২১ জন পুরুষ এবং ৬৪ জন নারী। এদের মধ্যে ১২ জন
বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বিভাগওয়ারি
হিসাবে মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৭০ জন। এছাড়া খুলনায় ৫১ জন, চট্টগ্রামে
২০ জন, রাজশাহীতে ১৩ জন, বরিশালে ১০ জন, সিলেটে সাতজন, রংপুরে ১১ জন এবং
ময়মনসিংহে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত ১৮৫ জনের মধ্যে বয়সের হিসাবে
দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৩ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২২ জন,
পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫১ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৯২ জন মারা যান।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় এবং এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়।