Published : Sunday, 11 July, 2021 at 12:00 AM, Update: 11.07.2021 1:15:49 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর।।
করোনা
সংক্রমণ মাত্রা ছড়িয়ে যাওয়ায় কোরবানি ঈদকে ঘিরে মসলার বাজারে যে ডামাডোল
শুরু হওয়ার কথা ছিল, কঠোর লকডাউনের কারণে তা মলীন হয়ে গেছে। করোনা
সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় এখনো কেনাবেচা স্বাভাবিক বাজারের চেয়েও ৬০ শতাংশ
কম। তাই ব্যবসায়ীদের মুখে কালো মেঘের ছায়া নেমে এসেছে।
বিভিন্ন বাজার
ঘুরে জানা যায়, গরম মসলার মধ্যে কোরবানিতে সবচেয়ে বেশি লাগে জিরা। পাইকারি
বাজারে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ভারতীয় জিরা বিক্রি হয়েছে ২৭০ টাকা থেকে ২৮০
টাকা কেজি। ইরানি জিরা কম থাকায় দামও বেশি। ইরানি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৪০
টাকা থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। মসলার মধ্যে সবচেয়ে দামি এলাচের বর্তমান পাইকারি
দাম মান ভেদে এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এলাচ আসে
ভারত ও গুয়াতেমালা থেকে। দুই দামের এলাচেই মানের তারতম্য রয়েছে। এ ছাড়া
গোলমারিচ ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, চায়না দারচিনি ৩২০ টাকা, ভিয়েতনামের
দারচিনি ৩৪০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, লবঙ্গ ৯২০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা কেজি দরে
বিক্রি হচ্ছে। গরম সমলার দাম কমলেও উল্টো গতি নিত্য প্রয়োজনীয় আদা, রসুন ও
পেঁয়াজের বাজারে। ঈদের আগে এই তিন মসলার ব্যাপক চাহিদা বাড়ে। গত এক সপ্তাহে
পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজ, রসুনের দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে এবং
আদার দাম বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা।
মসলা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, বিয়ে
ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানেই গরম মসলার ব্যবহার বেশি। করোনার কারণে এসব
অনুষ্ঠান কমে যাওয়ায় মসলার বড় অংশই বিক্রি হচ্ছে না। ফলে ঈদের জন্য মসলার
পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে ওঠলেও পণ্য বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ফলে ঈদের বাজার ধরতে দাম বাড়ানোর চেয়ে কমানোর চেষ্টাই বেশি তাঁদের। কারণ
ঈদের আর ১০ দিন বাকি থাকলেও কিছু খুচরা ক্রেতা ছাড়া এখনো ঈদ বাজার জমে
ওঠেনি। বাকি সময়টাতে খুব ভালো বিক্রি হবে তারও কোন আভাস মিলছে না।
পাইকারি
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে কোরবানি ঈদের বেঁচাবিক্রি শুরু হয় ১৫
থেকে ২০ দিন আগে। শেষ হয়ে যায় ঈদের সপ্তাহ খানেক আগেই। কিন্তু এবার ঈদে
ব্যবসার মূল সময়টাতে কঠোর লকডাউন থাকায় অনেক খুচরা ব্যবসায়ীও পাইকারি
বাজারে ঢুঁ মারছে না। তাই আমাদের পাইকারি দোকান গুলোতে বিক্রি নেই বললেই
চলে।
মুরাদনগর বাজারের গরম মসলা ব্যবসায়ী উজ্জল বনিক দৈনিক
কুমিল্লার কাগজকে বলেন, যে সময় খুচরা বাজারে বিকিকিনি জমে ওঠার কথা, ঠিক সে
সময় ধরপাকড় আতঙ্কে গত ১১ দিন বাজারে মানুষ উঠছে না। অপরদিকে আমাদের ব্যবসা
করার গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে এখন। লকডাউন এর কারণে বিয়ে-শাদী ও সামাজিক
অনুষ্ঠান বন্ধ সীমিত থাকায় সব মিলিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।