Published : Sunday, 11 July, 2021 at 12:00 AM, Update: 11.07.2021 1:16:00 AM
তানভীর
দিপু: করোনা প্রতিরোধে আবারো কুমিল্লার ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন কমিটিগুলোকে
জোরদার ভাবে কাজে লাগানোর নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল
হাসান। এসব কমিটির সদস্যরা তাদের আশেপাশে যারাই করোনা আক্রান্ত হবেন কিংবা
উপসর্গ- জ¦র সর্দি কাশি ইত্যাদিতে আক্রান্ত হবেন তাদের সম্পর্কে তথ্য
সংগ্রহ এবং তাদের আইসোলেশনের ব্যবস্থা করবেন। এতে করে করোনার কমিউিনিটি
ট্রান্সমিশন কমে আসবে এবং সংক্রমণ হার কমে আসবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক
(সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, জেলাপ্রশাসক বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে
যাচ্ছেন এবং প্রতি উপজেলায় করোনা প্রতিরোধে ইউনিয়ন কমিটি গুলো আবারো
জোরদার কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান ফৌজিয়া সিদ্দিকা জানান, নির্দেশনা মোতাবেক
কার্যক্রম গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন আগামী সোমবারের মধ্যে সভা শেষে
কার্যক্রম শুরু করবে। গতবছরই এসব কমিটি করা হয়েছিলো, তারা আবার নতুন করে
কাজ শুরু করবেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে আরো জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান,
মেম্বার, শিক্ষক, ইমাম, চিকিৎসকসহ সচেতনমহলদের নিয়ে করা ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন
কমিটিগুলো করোনা প্রতিরোধে গতবছরই গঠন করা হয়। মাঝে করোনার সংক্রমণ কমে
যাওয়ায় এসব কমিটিগুলো নিস্তেজ হয়ে পরে। তবে এখন আবারো সংক্রমণ বৃদ্ধি
পাওয়ায় তাদের মাঠে নামতে হবে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কমিটি
গুলোর বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার সভা করে নির্দেশনা জানানো হবে।
চলমান
লকডাউনে দেখা গেছে- স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান
পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন। তবে করোনা প্রতিরোধে গত বছরের মত এবছর
জনপ্রতিনিধিদের মাঠে দেখা যায় নি। সাধারণ মানুষকে নির্দেশনা মানাতে
জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা আশা করেন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা।
এদিকে
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের পরিচালিত মোবাইল
কোর্টে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৩০ টি মোবাইল
কোর্টে দন্ডিত ব্যাক্তির সংখ্যা ১৬৫ জন। চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে কুমিল্লা
নগরীসহ পুরো জেলায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সমন্বিত
ভাবে এসব মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। গতকাল সবচেয়ে বেশি জরিমানা আদায় করা
হয় আদর্শ সদর উপজেলায়। ১৮টি মামলায় ২৩হাজার ৭৫০টাকা।
এদিকে শনিবার জেলায় আরো ৪ হাজার ১৭ জন মানুষকে ত্রান বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।