খুলনার সরকারি-বেসরকারি তিন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন করোনায় ও দুই জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। শনিবার (১০ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রবিবার (১১ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
১৪ জনের মধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আওতাভুক্ত করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আট জন, বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুই জন ও খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে কারও মৃত্যু হয়নি।
খুমেক হাসপাতালের আওতাভুক্ত করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে মৃত আট জনের মধ্যে করোনায় ছয় জন ও উপসর্গ নিয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃতরা হলেন- রূপসার সুফিয়া (৪৫), নগরীর সোনাডাঙ্গার আসাদুল হক (৭৫), খালিশপুরের শাহারা বেগম (৬৫), আফিলগেটের নাজির আহমেদ (৭০), খুলনার রাজিয়া (৫০) ও যশোরের এমএ খলিল (৮০)।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৩ জন। তাদের মধ্যে রেড জোনে ১২১, ইয়েলো জোনে ৩৬, আইসিইউতে ১৯ জন ও এইচডিইউতে ১৭ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২ জন।
গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- নগরীর সোনাডাঙ্গা মেইন রোড এলাকার আরোয়া ফকরুদ্দীন (৪৪) ও যশোর কেশবপুরের মঞ্জুয়ারা বেগম (৫০)। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩৪ জন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে আট জন ও এইচডিইউতে আছেন ১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জন ভর্তি হয়েছেন। আরও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- নগরীর ডালমিল মোড় এলাকার গোলাম কিবরিয়া (৬৮), রুপসার জীবন কৃষ্ণ পাল (৫৭), তেরখাদার মফিজুল ইসলাম (৫৫) ও অভয়নগরের জেসমিন বেগম (৪৫)।