আফগানিস্তানে তালেবান যোদ্ধাদের আবারও উত্থানে অন্তত ৫০ কূটনীতিক ও কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত। তালেবান যোদ্ধারা একের পর এক এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়ায় সেখানে ব্যাপক নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তারা আফগানিস্তানে চলমান সহিংসতার ওপর গভীরভাবে নজর রাখছে এবং ভারতীয়দের ওপর এর কী ধরনের প্রভাব পড়ছে তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান। কাবুলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, কান্দাহার ও মাজার-ই-শরিফে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস বন্ধের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে আফগানিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন ভারতে অবস্থিত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত ফরিদ মামুন্দজে।
গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস সে দেশে অবস্থান করা তাদের নাগরিকদের চলাচল ও অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্ক করেছিল। দূতাবাস থেকে আরও জানানো হয়েছিল, আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো সাধারণ নাগরিক ও ভারতীয়দের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালাচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে তালেবানের বরাত দিয়ে কোনো কোনো পশ্চিমা গণমাধ্যম খবর দিয়েছে, আফগানিস্তানের শতকরা ৮৫ ভাগ এলাকা তালেবান দখল করে নিয়েছে। তবে আফগান সরকার এই খবরের সত্যতা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তালেবান যদি এত বিশাল অঞ্চল দখল করত তাহলে তাদের নেতারা এখনও পাকিস্তানে অবস্থান করতেন না।
আফগানিস্তানে ২০ বছরের দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে যখন মার্কিন সেনারা দেশটি থেকে চলে যাচ্ছে তখন আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের খবর আসছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে সব সেনা প্রত্যাহার করবে যুক্তরাষ্ট্র।