চান্দিনায় ঢিলেঢালা লকডাউন অধিকাংশ দোকান-পাট খোলা চলছে যানবাহনও
Published : Tuesday, 13 July, 2021 at 12:00 AM
রণবীর ঘোষ কিংকর।
সোমবার দুপুর ১২টা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা সদরের বাজারের চিত্র দেখে বুঝার উপায় নেই যে, সারা দেশে ‘কঠোর লকডাউন’ চলছে। ক্রেতা-বিক্রেতা সমাগমে সরগরম চান্দিনা বাজার।
মুদি-স্টেশনারী দোকান থেকে শুরু করে কাপড়, জুয়েলারী, টাইলস-স্যানেটারী, ইলেক্টট্রিক-ইলেক্ট্রনিক্স, হার্ডওয়্যারসহ প্রায় সকল দোকাই-পাট, শপিং সেন্টারগুলোই খোলা। কেউবা পুরো সার্টার খুলে প্রত্যক্ষ ভাবে আবার কেউবা সার্টার সামান্য খুলে পরোক্ষ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের নিজ নিজ ব্যবসা।
চান্দিনা বাজারের পৌর শপিং মার্কেট ও কাপড় পট্টিতে প্রবেশ করতেই দেখা গেছে প্রায় কাপড় দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী। প্রতিটি দোকানে ৩-১০জন ক্রেতাও রয়েছে। সংবাদ কর্মীদের ক্যামেরা দেখে ক্রেতাদের দোকানের ভিতরে রেখেই সার্টার নামিয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
একই চিত্র জুয়েলারী দোকানগুলোতে। অধিকাংশ জুয়েলারী দোকানী সার্টার সামান্য খোলা রেখে ক্রেতাদের ভিতরে নিয়ে আবার সার্টার নামিয়ে দিচ্ছে।
বাজারের অধিকাংশ দোকান-পাট খোলা থাকায় চান্দিনাসহ পাশ্ববর্তী, দেবীদ্বার ও বুড়িচং উপজেলার ক্রেতাদের ঢল নেমেছে মহাসড়ক সংলগ্ন ওই বাজারটিতে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘কঠোর লকডাউনে’ ওষুধ দোকান ব্যতিত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী, মুদি ও খাবার হোটেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার বিধান থাকলেও চান্দিনা বাজারের খোলা প্রায় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বন্ধ নেই রড-সিমেন্টের দোকানও।
বাজারের প্রধান সড়কটির বিভিন্ন স্থানে যানজট। সিএনজি অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকের স্ট্যান্ড গুলোতে সারি সারি অটোরিক্সা দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানো-নামানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদকর্মীদের ফোন পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)’র নেতৃত্বে পৃথক ২টি টিম বাজারে প্রবেশ করতেই বন্ধ হয়ে যায় সকল দোকান-পাট। দ্রুত খালি হয়ে যায় সিএনজি অটোরিক্সার স্ট্যান্ড। ভ্রাম্যমাণ আদালত ১০মিনিট পর চলে গেলে বাজারের চিত্র ফিরে আসে আগের রূপে।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও বেড়েছে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিক্সায় যাত্রী পরিবহন। এতে চলমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রকট আবারে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে, গত ২৮ জুন থেকে চান্দিনা উপজেলায় যে পরিমাণ করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হচ্ছে তার দুই তৃতীয়াংশই পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা। উপজেলা সদরের বাজারটিও পৌর এলাকার একমাত্র বাজার।
এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুন নাহার জানান- আমরা অভিযান করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করছি। চলে আসলেই আবারও খুলে বসছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।