হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপে ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের পথচলা; এই হারারেতেই গড়লেন কীর্তি। ২০০৬ থেকে ২০২১; মাঝে কেটে গেছে ১৫ বছর। সাকিব এ সময়ে যেমন সাফল্যের চূড়ায় উঠেছেন তেমনি নামতে হয়েছে মাটিতেও। তবে আজকের দিনটি শুধু কীর্তির।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) ফাইন লেগে তাসকিনের হাতে যখন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলরকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে পাঠালেন; তখনই এক অনন্য রেকর্ডে নাম লেখালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তিনি এখন একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক।
টেলরকে আউটের পর সাকিব আরও ৩টি উইকেট পেয়েছেন। ২১৩ ওয়ানডেতে সাকিবের উইকেট ২৭১টি। শীর্ষে উঠতে সাকিব পেছনে ফেলেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। মাশরাফি ২১৮ ম্যাচে ২৬৯ উইকেট পেয়েছেন।  
এই উইকেটগুলোর মধ্যে ঘরের মাঠে ১০৫ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫৮ উইকেট। প্রতিপরে ভেন্যুতে ৬৯ ম্যাচে ৬৭ ও নিরপে ভেন্যুতে ৩৯ ম্যাচে নিয়েছে ৪৪ উইকেট।
ওয়ানডেতে সাকিব সবচেয়ে বেশি খেলেছেন জিম্বাবুয়ের বিপ।ে দেশটির বিপে ৪৬ ম্যাচে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৭৭ উইকেট। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিউ জিল্যান্ডের বিপে ২২ ম্যাচে নিয়েছেন ৩৭ উইকেট।
সাকিব ২০টির বেশি উইকেট পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২৪) ও পাকিস্তানের (২১) বিপ।ে আর ভারতের বিপে নিয়েছেন ১৯ উইকেটে। ৫টির বেশি ম্যাচ খেলে সবচেয়ে কম উইকেট নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপ।ে দেশটির বিপে ৯টি ম্যাচে নিয়েছেন ৫উইকেট। আর সবচেয়ে কম ৭ ম্যাচ খেলে ১৮ উইকেট নিয়েছেন আফগানিস্তানের বিপ।ে
অধিনায়ক থাকা অবস্থায় সাকিব ৫০ ম্যাচে নিয়েছেন ৬৮ উইকেট। আর না থাকা অবস্থায় ১৬৩ ম্যাচে নিয়েছেন ২০৪টি উইকেট। মাশরাফির অধীনে ৭৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯৭ উইকেট নেন সাকিব।এখন পর্যন্ত ২১৩ম্যাচে ওভারপ্রতি ৪.৪৫ রান খরচ করে সাকিব নিয়েছেন ২৭২টি উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ২৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট। ৫ উইকেট নিয়েছেন ২বার আর ৪ উইকেট ১০ বার (আজসহ) ।   
সাকিবের পর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মাশরাফির উইকেট ২৬৯। ১৫৩ ম্যাচে২০৭ উইকেট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন অবসর নিয়ে বর্তমানে জাতীয় নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক। এ ছাড়া ২০০ উইকেটের মাইলফলক পার হতে পারেননি কোনো বোলার। ১০৪ ম্যাচে ১২৯ উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছেন রুবেল হোসেন।