ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লায় এক সপ্তাহে মৃত্যু ৭০
গরু হাটে অবাধ বিচরণে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা
Published : Tuesday, 20 July, 2021 at 12:00 AM, Update: 20.07.2021 1:07:35 AM
কুমিল্লায় এক সপ্তাহে মৃত্যু ৭০রণবীর ঘোষ কিংকর: করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ফেরিয়েন্ট বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে কুমিল্লায়ও বেড়েছে মৃত্যু ও সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে কুমিল্লায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৭০জনের মৃত্যু ঘটেছে। সংক্রামিত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৪২৯ জন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে প্রাপ্ততথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়- করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কুমিল্লায় ৬০৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র গত এক সপ্তাহে ১৩ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত কুমিল্লায় ৭০জনের মৃত্যু ঘটেছে! যা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি। গত এক সপ্তাহের মধ্যে ১৪ জুলাই সর্বোচ্চ ১৬ জনের এবং ১৮ জুলাই ১৩জনের মৃত্যু ঘটেছে। সর্বশেষ ১৯ জুলাই সর্ব শেষে ২৪ ঘন্টায় ৮জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, গত ১ জুলাই থেকে টাকা ১৪ দিনের ‘কঠোর লকডাউন’ শেষে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজাহা উপলক্ষে সাত দিনের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু উন্মুক্তের সিদ্ধান্ত আসে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে। কিন্তু কোরবানীর পশুর হাট থেকে শুরু করে কোথাও স্বাস্থ্য বিধি মানার তোয়াক্কা না থাকায় পবিত্র ঈদুল আজাহার পর সারা দেশের সাথে ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা কুমিল্লাতেও করোনা সংক্রামণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মুজিবুর রাহমান জানান-  ঈদের দুই সপ্তাহ পর কুমিল্লাসহ সারা দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হবে। এতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ যারা স্বাস্থ্য বিধি মানে না এবং যারা টিকা গ্রহণ করে নাই, তারা মূলত করোনা ভাইরাস সংক্রামণের কারাখানা। সরকার এক সপ্তাহের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে লকডাউন শিথিল করায় হাট-বাজারে স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে মানুষের অবাধ বিচরণ দেখে মনে হয় যেন, করোনা দেশ থেকে চলে গেছে। ধর্মীয় উৎসবে স্বাস্থ্য বিধিমেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দেন ওই চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেন জানান- সাধারণ মানুষের মনে এখনও সচেতনতা সৃষ্টি হয়নি। শতভাগ মাস্ক পড়াও নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। হাট-বাজারে মানুষের অবাধ বিচরণের ফল ভোগ করতে হতে পারে ঈদের পরবর্তী সময়ে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।