Published : Friday, 6 August, 2021 at 12:00 AM, Update: 06.08.2021 12:14:41 AM

রণবীর
ঘোষ কিংকর: চলমান করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা নিয়ে ছিলো মানুষের নানা
ভ্রান্ত ধারণা। বাংলাদেশে টিকা প্রদান শুরু হওয়ার পর থেকে টিকা গ্রহনে
আগ্রহীর সংখ্যাও ছিল খুব কম। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে টিকা কার্যক্রম
শুরু হওয়ার পর যারা টিকা গ্রহণ করেছেন তাদের শারীরিক অবস্থাও পর্যালোচনা
করেছেন আশ-পাশের লোকজন।
পাঁচ মাস যাবৎ টিকা গ্রহীতার শারীরিক অবস্থা
বিবেচনা, দেশের টিকার পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় টিকা গ্রহণে বয়সসীমা নিচে নামিয়ে
আনা এবং সংক্রামিত রোগী ও মৃতের সংখ্যা আশঙ্কা জনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায়
টিকা গ্রহণে আগ্রহ বেড়েছে জনমনে।
যে কারণে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রতিদিন
সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখা যাচ্ছে।
কুমিল্লার
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, টিকা গ্রহণ করতে
প্রতিদিন শতশত মানুষ হাসপাতালে ভীড় জমাচ্ছেন। হাসপাতালের টিকা প্রদানের বুথ
থেকে দীর্ঘ লাইন বাহিরে চলে আসছে। গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষার
মধ্যদিয়ে টিকা গ্রহণে নারী-পুরুষের ভীড়। একটি কক্ষে ২জন নার্স টিকা প্রদান
করছেন। তাদের কাজে সহযোগিতা করছেন আরও ৪জন। তারপরও ভীড় সামলাতে হিমশিম খেতে
হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
অপরদিকে, করোনা ভাইস ছড়িয়ে পড়েছে
প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। ঠান্ডা-কাশিসহ নানা উপসর্গ নিয়ে নমুনা পরীক্ষা করাতেও
ভীড় জমাচ্ছেন শতাধিক রোগী। সেখানেও নেই সামাজিক দূরত্ব। পরীক্ষায় ৩০-৪০
শতাংশ রোগীর মাঝে করোনা শনাক্ত হলেও লাইনে দাঁড়ানো বাকিদের শনাক্ত হওয়ার
ঝুঁকি অনেকাংশে বেশি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি
অনেক বেশি বলে মনে করেন টিকা গ্রহীতা থেকে শুরু করে নমুনা প্রদানকারীরা।
চান্দিনায়
নমুনা প্রদান করতে আসা রহিমা বেগম জানান- এখানে যারা নমুনা দিতে এসেছেন
নিশ্চিয় সকলের রিপোর্ট পজেটিভ আসবে না। আবার যাদের পজেটিভ তারাও সকলের সাথে
গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। এতে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
নমুনা পরীক্ষা দিতে আসাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা একান্ত জরুরী।
টিকা
নিতে আসা শাসমছুল হক জানান- এখানে কোন শৃঙ্খলা নেই। ডাক্তারদের কথা শোনছেন
না কেউ। কার আগে কে টিকা নিবে নেই চিন্তা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া
নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব।
এ ব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
ডা. তানভীর হাসান বিষয়টি স্বীকার করে জানান- প্রতিদিন গড়ে ৫শ মানুষ টিকা
গ্রহণ করছেন। শতাধিক রোগী নমুনা দিচ্ছেন। আমার কি সেবাই দিবো না শৃঙ্খলা
রক্ষা করবো। একদিকে লাইনে দাঁড় করালে অন্যদিকে আরেকটি লাইন সৃষ্টি হচ্ছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের নিজস্ব কোন বাহিনী নেই। আমি উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তার নিকট আনসার প্রদানের সহযোগিতা চেয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুন নাহার এর ব্যবহৃত ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।