তানভীর দিপু ।।
গত
১৫ দিনে কুমিল্লায় করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে ১০ সহ¯্রাধিক মানুষ। এই সময়ে
মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫৭ জন। প্রতিদিন গড়ে ১০ জন মৃত্যুবরণ করেছে। এই পনের
দিনে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ১৩২ জন। তবে এই সময়ের মধ্যে অভাবনীয় সংখ্যক
করোনার নমুনা পরীক্ষা তরা হয়েছে, এর সংখ্যা ২৯ হাজার ৫৮৫টি। প্রতিদিন গড়ে ২
হাজার জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে পজেটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৭ শতাধিক মানুষ।
রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত ও প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধির বিপরীতে ব্যাপক হারে
করোনার নমুনা পরীক্ষাকে ইতিবিাচক হিসেবেই দেখছেন জেলা সিভিল সার্জন। সিভিল
সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, যত বেশী নমুনা পরীক্ষা তত বেশি নিশ্চিত
হওয়া যাবে সংক্রমণের মাত্রা ও এলাকা নিয়ে। সে হিসেবে আইসোলেশন ও চিকিৎসার
ব্যবস্থা করা গেলে নেতিবাচক ফলাফল কমিয়ে আনা যাবে। আমরা যত বেশি পারছি
নমুনা পরীক্ষা করছি।
২০ জুলাই মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ২১ হাজার ৯৬৫
জন, প্রাণহানির ছিলো ৬১৫ জনের এবং করোনা থেকে সুস্থ মানুষের সংখ্যা ছিলো
১৩ হাজার ৪২৮ জন। ওই দিন মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ২ হাজার ৩২১
টি। এর ১৫ দিন পর আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩২ হাজার ৭৮৭ জন, যার
পার্থক্য ১০ হাজার ৮২২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৫৬০ জন, মোট নমুনা
পরীক্ষা ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০৬ এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৭৭২ জন।
এদিকে গত
২৪ ঘন্টায়ও কুমিল্লায় করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫ জন। যার মধ্যে ৪ জনই সিটি
কর্পোরেশনের। করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৮০২ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫৫
জন। মৃত্যুবরনকারীদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ এবং ৮ জন মহিলা। তিনি বলেন, ‘গত ২৪
ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় চারজন,
দাউদকান্দি ও মুরাদনগরে দুইজন করে এবং কুমিল্লা সদর, বুড়িচংয়,
ব্রাহ্মণপাড়া, চৌদ্দগ্রাম, দেবীদ্বার, বরুড়া ও মনোহরগঞ্জে একজন করে মৃত্যু
হয়েছে।’
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় দুই
হাজার ৬১৮ নমুনা পরীক্ষায় ৮০২ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। আক্রান্তদের মধ্যে
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকার ১৯০ জন, আদর্শ সদরে ২৭ জন, সদর দক্ষিণে ২২
জন, বুড়িচংয়ে ৩২ জন, ব্রাহ্মণপাড়ায় ৩৮ জন, চান্দিনায় ৩৫ জন, চৌদ্দগ্রামে ৮৬
জন, দেবীদ্বারে ৩২ জন, দাউদকান্দিতে ২৪ জন, লাকসামে ৫৩ জন, লালমাইয়ে ১১
জন, নাঙ্গলকোটে ৭০ জন, বরুড়ায় ৬২ জন, মনোহরগঞ্জে ২১, মুরাদনগরে ১২ জন,
মেঘনায় ১৭ জন, তিতাসে ৪০ জন এবং হোমনায় ৩০ জন রয়েছেন।
সিভিল সার্জন মীর
মোবারক হোসাইন আরো জানান, গত ৩ দিনে কুমিল্লায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে টিকা
দেয়া হয়েছে। ৭ তারিখ থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। টিকা দেয়া যত বেশি
নিশ্চিত হবে তত বেশি মৃত্যুর হার কমে আসবে। আর সংক্রমণ রোধে সচেতনতার কোন
বিকল্প নেই।