কোচ আন্দ্রে জারদাইন খুব করে চেয়েছিলেন নেইমারকে। টোকিও অলিম্পিক ফুটবলে নেইমারকে পেলে বহুদূর যেতে পারবেন- এমনটি ছিল আশা। কিন্তু পিএসজি তারকাকে পাওয়া যায়নি। তবে নেইমারকে ছাড়াই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিল। তার অভাব ভুলিয়ে দিয়ে ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন এগিয়ে নিচ্ছেন লাতিন আমেরিকার দেশটিকে। ৫ গোল করে এককভাবে শীর্ষ গোলদাতা এভারটনের এই ফরোয়ার্ড।
গোটা টুর্নামেন্টে আলো ছড়ানোয় ফাইনালে তার ওপর প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ সময় আজ (শনিবার) বিকালে সোনার লড়াইয়ে স্পেনের মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল। ফাইনাল মঞ্চে কি ‘নেইমার’ হতে পারবেন রিচার্লিসন? গত রিও অলিম্পিকে সোনা জেতার পথে ব্রাজিলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন নেইমার। আবার ফল নিষ্পত্তির জন্য যখন ম্যাচ গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে, সেখানেও শেষ শট জালে জড়িয়েছিলেন নেইমারই। টোকিওতে স্বপ্ন দেখানো রিচার্লিসন সেই জায়গা কতটা পূরণ করতে পারেন, সেটাই দেখার।
টোকিও অলিম্পিকে রিচার্লিসনের ৫ গোলই হয়েছে গ্রুপ পর্বে। জার্মানিকে ৪-২ গোলে হারানো ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন এই ফরোয়ার্ড। আর নকআউট পর্বের আগে শেষ ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে ৩-১ স্কোরলাইনের ম্যাচে জোড়া লক্ষ্যভেদ করেছেন।
এছাড়া অন্য ম্যাচগুলোতেও খারাপ করেননি। গোল করতে না পারলেও সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন। তাই আজ স্পেনের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে রিচার্লিসনের জ্বলে ওঠার দিনও।
২০১৮ সাল থেকে জাতীয় দলে খেলছেন রিচার্লিসন। ৩২ ম্যাচে করেছেন ১০ গোল। এবারের কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের ফাইনাল খেলার পথে রিচার্লিসন করেছিলেন মাত্র এক গোল। তবে টোকিওতে এসে জ্বলে উঠেছেন।
ফাইনাল জেতার জন্য ব্রাজিলের সবাই মরিয়া হয়ে আছে। অধিনায়ক দানি আলভেস সতীর্থদের জ্বলে ওঠার বার্তা দিয়েছেন। যে করেই সোনার পদক ধরে রাখার মিশনে থেকে মাঠে নামতে চাইছেন। সেই বার্তা বুঝি রিচার্লিসনের কানেও গেছে।
তাই তো এভারটন তারকা বলেছেন, ‘আমি কখনও কল্পনা করিনি যে শরীরে ট্যাটু করবো। কিন্তু ব্রাজিল যদি অলিম্পিকের সোনা জিততে পারে, আমি অবশ্যই তা করবো। আমি সেই মুহূর্তটি স্মরণ করে রাখতে চাই।’