সারাদেশের ন্যায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কুমিল্লা নগরীসহ ১৭ টি উপজেলায় গনটিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে নগরের ২৭ ওয়ার্ডে ৩১ কেন্দ্র ও ১৯৬ ইউনিয়নে একটি করে কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে গনটিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কুমিল্লা সদর সাংসদ ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্ঠা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার। এ সময় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু উপস্থিত ছিলেন । পরে বিভিন্ন টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তারা।টিকা দানের প্রথম দিনেই বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে হাজারো মানুষের ভিড়। বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের মাধ্যমে অগ্রাধিকার প্রাপ্যদের টোকেন দেয়া হলেও, তারা ছাড়াও ভোটার আইডি কার্ড-রেজিষ্ট্রেশনের কপি নিয়ে হাজির হয়েছেন বিপুল পরিমান মানুষ। এত মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। তবে মানুষের এমন আগ্রহ নিয়ে খুশি জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও স্বাস্থ্যবিভাগ।
এদিকে টিকা কার্যক্রমের প্রথম দিনে সাধারণ মানুষের আগ্রহ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, গণটিকা কার্যক্রমের প্রথম দিনে বরাদ্দের চেয়ে বেশি মানুষের উপস্থিত হয়েছেন। যেমন সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে মাত্র ৬০০ জনের জন্য টিকা বরাদ্দ থাকলেও প্রায় ৫ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। আমরা এসব বিষয় গুলো উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি। চাহিদা অনুপাতে কুমিল্লার জন্য টিকারে বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
টিকা কেন্দ্রে পরিদর্শন করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্ঠা সাংসদ আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, দেশের জনগনকে টিকার আওয়তায় আনতে প্রধানমন্ত্রী গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশে^র বিভিন্ন স্থান থেকে টিকার ব্যবস্থা করছেন। পর্যায়ক্রমে সকলকে টিকার আওতায় আনা হবে। এ টিকা শুধু তিনদিন নয়। আরো দেওয়া হবে। সব সময় সিভিল সার্জন অফিস, সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ টিকা কার্যক্রম চলবে। টিকার নেওয়ার পর সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। এই কোভিড মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, টিকাদানের জন্য পর্যাপ্ত লোকবল আছে। কিন্তু টিকা গ্রহীতার সংখ্যা এখনো কম। যে কারনে অতিরিক্ত লোকবলের এখনো প্রয়োজন হয়ে উঠেনি।