চাঁদপরে লঞ্চে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়
Published : Thursday, 12 August, 2021 at 12:00 AM
মানিক দাস ॥ সরকারের ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার প্রথম দিনেই চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সকালে লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে গেছে ঢাকার পথে। বন্দর কর্মকর্তা নিজে উপস্থিত থেকে যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে না পেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই কিছু লঞ্চকে চাঁদপুর ঘাট থেকে ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছেন। লঞ্চ ঘাটে কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
বুধবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চাঁদপুর থেকে ১৪টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর থেকে ঢাকার পথে ছেড়ে যায়। লঞ্চগুলো হলো বোগদাদীয়া-৮, রফরফ-৭, সোনারতরী-২, ঈগল-৭, ঈগল-৩, আসা-যাওয়া, রফরফ, মিতালি-৭, বোগদাদীয়া-৯, জামাল-৬, রফরফ-২, আবে জমজম, আওলাদ-৪, সোনারতরী-৩, এবং ঢাকা থেকে ৪টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চাঁদপুর ঘাটে এসে ভিড়েছে। লঞ্চ যযাত্রীদের অভিযোগ সরকার ঘোষিত ধারণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ অতিরিক্ত যাত্রী ছাড়া গণপরিবহন চলাচল করবে। কিন্তু আওলাদ-৪ লঞ্চের বিরুদ্ধে যাত্রীরা অভিযোগ করেন তাদের কাছ থেকে অধিক ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সকালে লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। কোনো ধরনে সামাজিক দূরত্বই মানা হচ্ছে না। একজনের শরীর ঘেঁষে অপরজন দাঁড়িয়ে অপো করছে লঞ্চের জন্য। আর ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চের চিত্রও একই। লঞ্চের ভেতরে-বাইরে যাত্রী আর যাত্রী। অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও অনেকে যাত্রীকে তা পড়তে দেখা যায়নি।
রায়পুর থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রী তরিকরউল্যাহ বলেন, খুব সকালে লঞ্চঘাটে এসেছি। এখনো লঞ্চ উঠতে পারিনি। ফরিদগঞ্জের হাসা গ্রাম থেকে থেকে আসা যাত্রী রেহানা বেগম বলেন, লঞ্চ ঘাটের যেই পরিস্থিতি এভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব না। এতে করে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়েই ঢাকা ফিরে যাচ্ছি। এছাড়া কোনো উপায়ও নেই! যাত্রীদের ব্যাপক চাপ থাকায় ধারণ মতার কিছুটা বাড়তি যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ লণীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যেন লঞ্চ চলাচল করতে না পারে সে ব্যাপারে নজরদারি করা হচ্ছে। যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, লঞ্চ যাত্রীভর্তি হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, বিকেল নাগাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।