ঝড়ের গতিতে আফগানিস্তানের ১৮টি প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে তালেবান। এর মধ্যে রয়েছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাত।
তালেবানের হাতে দ্রুত কাবুলের পতন হতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক এবং নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কাবুল থেকে দূতাবাস খালি করার তোড়জোড় শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
এ অবস্থায় দেশের জনগণ চাইলে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ আশরাফ ঘানি।
শুক্রবার কাবুলে বিশ্ব যুব দিবসের এক অনুষ্ঠানে নিজের এ প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছেন বলে আফগানিস্তানের বার্তা সংস্থা ‘আওয়া’ জানিয়েছে। তবে এ জন্য একটি শর্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, কেবলমাত্র আফগানিস্তানের জনগণ তার সরকারের পরিবর্তে কাকে চায় তা নির্ধারণ করার অধিকার রাখে; কোনো প্রতিবেশী দেশ (পাকিস্তান) নয়।
সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, যতদিন আশরাফ ঘানি আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট থাকবে ততদিন সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসবে না তালেবান।
এর আগে আশরাফ ঘানি এক বক্তব্যে বলেছিলেন, কেবলমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে নবগঠিত সরকারের কাছে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন; অন্য কারো কাছে নয়।
এর আগে তালেবানকে সহায়তা করার জন্য পাকিস্তানের সমালোচনা করেছিলেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
এদিকে আফগানিস্তানের সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সহিংসতা যত বাড়ছে দেশটির নাগরিকরা ততই পাকিস্তানের ওপর ক্ষোভে ফুঁসছেন। লাখ লাখ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী টুইটারে পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানাচ্ছেন।
দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগস্টেই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ করবে দেশটি। এর মধ্যেই তালেবান দেশের প্রায় অর্ধেকের বেশি জেলার দখল নিয়ে নিয়েছে।