শিশু রাবেয়া হত্যার রহস্য উন্মোচন
Published : Sunday, 15 August, 2021 at 12:00 AM
মো. হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর ||
কুমিল্লার
মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন টনকী ইউনিয়নের বাইড়া গ্রামের বহুল
আলোচিত ১৯ দিনের শিশু রাবেয়া বসরী হত্যার রহস্য অবশেষে উন্মোচন হয়েছে।
শিশু কন্যা হত্যার দায় স্বীকার করে শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার সিনিয়র চীফ
জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম রোকেয়া আক্তারের আদালতে স্বীকারোক্তি
জবানবন্ধী দেন ঘাতক মা রহিমা আক্তার রত্মা (২০)। শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার পর
থেকে দৈনিক কুমিল্লার কাগজ খবরটি প্রকাশ করলে এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের
বেশ তৎপরতা ছিল।
সরেজমিনে গিয়ে নিহত শিশুটির দাদা বাচ্চু মিয়ার সাথে এ
বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, বড় ছেলে মুজিবুর রহমান ও মেঝ ছেলে সজিবুর রহমান
প্রবাসে থাকেন। বড় ছেলে ঠিকমতো বেতন পান না। মেঝ ছেলে সড়ক দূর্ঘটনায়
দুুুুুুুই পা হারিয়ে বিদেশের হাসপাতালে আছে। অস্বচ্ছল সংসারে স্বচ্ছলতা
ফিরাতে আমি এখনো মাঠে কাজ করি। অন্য দিনের মতো গত বৃহস্পতিবারে জমিতে কাজ
করতে যাই। বাড়িতে এসে শুনি ১৯ দিনের নাতনি রাবেয়া বসরীকে পাওয়া যাচ্ছে না।
বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে থানায় গিয়েও সাধারণ ডাইরী করা হয়েছিল। পরদিন
শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশে খালের পানিতে আমার নাতনির লাশ ভেসে ওঠে। এ খবর
পেয়ে পুলিশ বাড়িতে আসেন এবং লাশের সাথে আমাদের সকলকে থানায় নিয়ে যায়।
সকলের সাথে এ বিষয়ে আলাপ শেষে আমাদেরকে ছেড়ে দিলেও আমার পুত্রবধু রহিমা
আক্তার রত্মার লড়চর কথায় তাকে থানায় রেখে দেয় পুলিশ। শনিবার সকালে শুনতে
পারলাম, সে নিজেই আমার নাতনিকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে। তবে, গত এক সপ্তাহ
যাবত রত্মা একা একা বসে থাকতো। আমাদের সাথে তেমন বেশী কথা বলতো না। কি
হয়েছে জিজ্ঞেস করলেও কোন প্রকার উত্তর দিত না।
মুরাদনগর সার্কেলের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান দৈনিক কুমিল্লার কাগজকে বলেন, এ
ঘটনায় শিশুটির দাদা বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবারেই শিশুটি নিখোঁজের ঘটনায় তাৎক্ষনিক ওই বাড়িতে যাই। শুরুতেই
শিশুটির মা রত্মা একেক সময় একেক কথা বলছেন। তার মানষিক অস্থিরতা ছিল চোখে
পড়ার মতো। পরে সে অপটকে স্বীকার করেছে, নানান টেনশনে পড়ে জিদ করে শিশু
কন্যাকে পানিতে ফেলে দিয়েছে। যা আদালতেও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে।
শিশুটির ময়না তদন্ত শেষে শনিবার বিকেলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
করেছি।