বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাড়ির সামনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। রবিবার (১৫ আগস্ট) সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘প্রবাসীদের অনুরোধ করবো চিহ্নিত খুনিদের বাসার সামনে গিয়ে প্রতিমাসে একবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন এবং বলবেন এখানে খুনিরা থাকে। এর মাধ্যমে তাদের প্রতিবেশীরা জানবে যে সেখানে একজন খুনি থাকে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা দেশবাসীকে এবং বিদেশে যারা অবস্থান করছে তাদের অনুরোধ করছি এই খুনিদের যদি কোনও তথ্য পান আমাদেরকে জানান। আপনাদের তথ্য সঠিক হলে অবশ্যই আপনাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে।
বঙ্গবন্ধু খুনি নুর চৌধুরি বর্তমানে কানাডাতে অবস্থান করছে। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি খুব দুর্ভাগ্যজনক যে খুনিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে কানাডা।’
কানাডায় একটি বিশেষ আইন আছে এবং তাদের ওখানে মৃত্যুদণ্ড নেই। এ সুযোগ নিয়ে সেখানে একজন আত্মস্বীকৃত খুনি অবস্থান করছে।
যুক্তরাষ্ট্রে রাশেদ চৌধুরী মিথ্যা তথ্য দিয়ে রেসিডেন্ট পার্মিট পেয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস মিথ্যা তথ্যগুলো পর্যালোচনা করছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যখন তারা মিথ্যা তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হবে, রাশেদ চৌধুরির নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে এবং তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।’
এসময় বঙ্গবন্ধুর অন্য তিন খুনি খন্দকার আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন কোথায় আছে এ বিষয়ে জানা নেই বলে মন্তব্য করেন আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি যে তারা এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভিন্ন ভিন্ন পাসপোর্টে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।’