চাঁদপুর হরিণা-শরীয়তপুর ঘাটে প্রায় চারশ’ পণ্যবাহী গাড়ি আটকা পড়েছে। যদিও ঘাট কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগত, যাত্রীবাহী ও ছোট যানবাহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপারে সুযোগ দিচ্ছে।
চালকদের দাবি পর্যাপ্ত ফেরি না থাকায় ৩/৪ দিন ঘাটেই থাকতে হয়েছে। এতে করে পণ্যবাহী গাড়ীর চালকরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে হরিণা ঘাটে আরও ফেরি প্রয়োজন। লকডাউন শিথিলের পর প্রতিদিনই অতিরিক্ত গাড়ি হরিণা ঘাট দিয়ে পারাপার হচ্ছে। যাত্রীবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যবাহী গাড়ী পারাপারে কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পার্কিং ইয়ার্ডে প্রায় চারশ’ গাড়ি ফেরীতে উঠার অপেক্ষায় রয়েছে। অনেকেই ৩/৪ দিন ধরে ফেরী পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। চালক-সহকারীদের দাবি তাদের থাকা-খাওয়া, টয়লেট, গোসলসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বর্তমানে হরিনা ফেরিঘাটে ৬টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছে। কর্তৃপক্ষ মনে করেন যানবাহন হিসেবে আরও দুইটি ফেরির প্রয়োজন।
বিআইডাব্লিউটিসি ঘাট ম্যানেজার (বাণিজ্য) আব্দুন নুর তুষার বলেন, ফেরিঘাটের আলু বাজার ও চাঁদপুর অংশে প্রায় চারশ' গাড়ী আটকা আছে। ইতোমধ্যে একটি ফেরি বাড়ানো হয়েছে। তবে এই অবস্থা থাকবে না। মাওয়া ঘাটের কিছু গাড়ী এখানে আসায় চাপ বেড়েছে।