কিলিয়ান এমবাপে পিএসজিতে থাকতে চান না, চলে আসতে চান স্পেনে। রিয়াল মাদ্রিদ হাতছানি দিয়ে ঢাকছে এমবাপেকে। কিন্তু পিএসজি কোনোভাবেই ছাড়তে রাজি নয় এই ফরাসি তারকাকে। এ নিয়ে যখন টানাহেঁচড়া চলছে, তখন রিয়াল মাদ্রিদের ড্রেসিং রুম প্রস্তুতি নিচ্ছে এমবাপেকে বরণ করার জন্য।
রিয়াল এমবাপেকে বরণ করার জন্য কেন এভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে? তাহলে তারা কী নিশ্চিত কিছু জানে? দল বদলের শেষ মুহূর্তে কী তাহলে চমক হয়ে রিয়ালে এসে যোগ দেবেন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে?
মূলতঃ এমবাপের রিয়ালে আসার সম্ভাবনা ঘিরেই এই আয়োজন। নেইমার আগেই চলে গিয়েছিলেন। এরপর চলে যান রোনালদো। এবার চলে আসলেন মেসিও। লা লিগা এখন পুরো তারকাহীন একটি লিগে পরিণত হয়েছে। সেখানে যদি কিলিয়ান এমবাপে গিয়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন, তাহলে তিনি শুধু রিয়ালেরই নন, লা লিগারই পোস্টারবয় হয়ে উঠবেন।
এমবাপে নিজেও এমনটা উপলব্ধি করছেন। যে কারণে পিএসজি ছেড়ে যাওয়ার তীব্র বাসনা তার মধ্যে। আবার রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবলার টনি ক্রুসও এমবাপের আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। রিয়াল মাদ্রিদও এক বস্তা টাকা নিয়ে প্রস্তুত ফরাসী তারকাকে কিনে নেয়ার জন্য। সব মিলিয়ে অনেক হিসেব মিলে যাচ্ছে এক বিন্দুতে। সে কারণেই রিয়ালের ড্রেসিং রুমে এক ধরনের আনন্দের বন্যা বইছে।
ইউরো কাপের সময়ই করিম বেনজেমার সঙ্গে আবার খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে কিলিয়ান এমবাপের। পিএসজির বর্তমান ডিফেন্ডার সার্জিও রামোসের সঙ্গেও বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। সে হিসেবে কিছু তথ্য আদান-প্রদান হয় রিয়ালের বেনজেমার সঙ্গে। সে কারণেই পরিস্থিতির খবরাখবর বেরিয়ে আসছে। সর্বশেষ টনি ক্রুসও মন্তব্য করেছেন যে, লিওনেল মেসি যাওয়ার কারণেই এখন পিএসজি খুব বেশি কড়াকড়ি করবে না। এমবাপেকে চলে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে দেবে।
ক্রুস বলেন, ‘আমরা এখন দেখছি, কিভাবে সবকিছু এগিয়ে চলছে। তার (এমবাপের) আসাটা আমাদের জন্য অনেক ভালো হবে। কারণ, আমাদের বড় প্রতিদ্বন্দ্বীরা (বার্সেলোনা) তাদের সেরা খেলোয়াড়কে হারিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কিছু ভালো জিনিসি আসা প্রয়োজন। সম্ভবত প্যারিস থেকে এক খেলোয়াড় (এমবাপে) আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন।’