দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। লক্ষ্যটা যদিও সহজ, কিন্তু শুরুর ধাক্কায় শঙ্কার মেঘ জন্মে। সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে সেই শঙ্কা কাটিয়ে লক্ষ্যে পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। তবে জয়ের বন্দর পর্যন্ত যেতে পারলেন না। আউট হয়ে গেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
সাকিব আউট হলেও জয়ের পথেই আছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৬ রান।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৬০ রানে অলআউট হয়েছে নিউজিল্যান্ড। নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জার রেকর্ড হয়েছে সঙ্গী। বাংলাদেশের লক্ষ্যটা তাই খুব সহজই বলা চলে। তবে শুরুর পথচলা ছিল ভীষণ কঠিন।
নিউজিল্যান্ডের পথেই হাঁটে স্বাগতিকরা। মাত্র ৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সংগ্রাম করা নাঈম শেখ কিউইদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিও ব্যর্থ। মাত্র ১ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই তিনি ঘায়েল। কোল ম্যাকনচির বলে ধরা পড়েন হেনরি নিকোলসের হাতে। ওই ধাক্কা কাটিয়ে উঠবে কী, আবারও উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এবার শিকার লিটন দাস। শ্বশুরের অসুস্থতায় অস্ট্রেলিয়া সিরিজ খেলতে পারেননি এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। তিনি না থাকায় ওপেনিংয়ে খুব ভুগেছিল বাংলাদেশ। ভাবা হচ্ছিল, এবার বুঝি ঝামেলা মিটবে। কিন্তু না, ব্যর্থতার খাতায় নাম লেখালেন তিনিও। ৩ বলে ১ রান করে এজাজ প্যাটেলের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফিরে যান।
দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে হাল ধরেন সাকিব। মুশফিক সাবধানী ব্যাটিং করলেও সাকিব সুযোগ পেলেই চড়াও হয়েছেন। দারুণ ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন লক্ষ্যের পথে। ঠিক তখনই রাচিন রবীন্দ্রর শিকারে পরিণত হলেন। তার বলে সাকিব ধরা পড়েন উইকেটকিপার টম ল্যাথামের গ্লাভসে। ফেরার আগে ৩৩ বলে ২ বাউন্ডারিতে সাকিব করেন ২৫ রান।