চাঁদপুর বাস স্টেশনে শ্রমিকদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে।সড়ক দুর্ঘটনায় বাস চালকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের এই সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার চাঁদপুর সদর উপজেলা আশিকাটি ইউনিয়নের চাঁদখার বাজার এলাকার এম এম নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় ও জেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সক্লুসিভ বাস ঢাকা (মেট্রো ব-১৪-১৩১১) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে ৯ মাসের শিশু মারা যায় ও ড্রাইভার সহ ৫ জন মারাত্মক জখম হয়।
এরপর রবিবার চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আহত ৫ জনকে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হলে আহত ড্রাইভার মােঃ মিজান মােল্লা (৩৫)কে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ড্রাইভার মােঃ মিজান মােল্লা ঐদিন রাত ১০ টা ২৫ মিনিটে মারা যায় বলে তার ভাতিজা মােঃ আবুল কালাম আজাদ রুবেল জানায়। নিহত ড্রাইভার মােঃ মিজান মােল্লা সদর উপজেলা পৌর ১৩নং ওয়ার্ডের টেকনিক্যালস্থ মােল্লা বাড়ির মােঃ ফজল মােল্লার ছেলে। নিহত ড্রাইভারকে আজ সকালে জানাজা শেষে নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেমবার ৬ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে চাঁদপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল । শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। চালক মিজানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পরিবহন শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ আন্দোলন করে। এ সময় তারা সুজালাম বাস টার্মিনালের বিভিন্ন সড়ক পথে চলাচলকারী বাস কাউন্টার গুলো ভাঙচুর করে। চাঁদপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মুন্সী কেউ মারধর করে। বিক্ষোভের খবর জানতে পেরে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রশিদ এর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা চাঁদপুর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যেতে দেয়নি। শ্রমিকরা দাবি করে বলেন শ্রমিক ইউনিয়ন কল্যাণ ফ্রান্ডের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করলেও শ্রমিকদের দুর্ঘটনা কিংবা বিপদের সময় কোন প্রকার অর্থ সহায়তা করে না শ্রমিক ইউনিয়ন । এমনকি রোববারের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাস চালকের মরদেহ কিংবা জানাজায় কোন শ্রমিক নেতা যায়নি। তাদের দাবি অবিলম্বে এই শ্রমিক ইউনিয়ন ভেঙে দিয়ে শ্রমিক বান্ধব নেতাদের দিয়ে নতুন কমিটি করা হোক। চাঁদপুর থেকে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা, রামগঞ্জ, নোয়াখালী, লক্ষীপুরসহ সকল রুটের যাত্রিদের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।