বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে দৃষ্টিশক্তি যেমন কমতে থাকে, চোখের প্রতি যত্নশীল না হওয়ার কারণেও দৃষ্টিশক্তি কমতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষ দৃষ্টিশক্তিজনিত কারণে চশমা ব্যবহার করে।
দীর্ঘক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রিনে চোখ রাখলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়াসহ আরো অনেক সমস্যা হয়। কিছু কাজ নিয়মিত করতে পারলে চোখ দুটোকে ভালো রাখা যায় আরও অনেকটা দিন। বাড়ানো যায় দৃষ্টিশক্তি।
জলের ঝাপটা দিন
চোখের অনেক বেশি ক্ষতি করে বায়ু দূষণ। বায়ু মন্ডলের ক্ষুদ্র ধূলিকণা, বিষাক্ত ধোয়া চোখে চুলকানি সৃষ্টি করে, জল আসার সমস্যা সৃষ্টি করে এবং দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দেয়। বাইরে থেকে এসে চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠেও জলের ঝাপটা দিন চোখে। এর ফলে চোখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ হবে।
চোখের ব্যায়াম
চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য সহজ কিছু ব্যায়াম আছে। এই ব্যায়ামগুলো যে কোন সময়ই করা যায়। সোজা হয়ে বসে ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে চোখ ঘুরান। এভাবে ৫-১০ মিনিট করুন এবং তারপর চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন।
আরেকটি সহজ ব্যায়াম হচ্ছে, চোখ থেকে ১২ ইঞ্চি দূরে এবং চোখ বরাবর একটি বস্তু রেখে তার দিকে তাকিয়ে থাকুন যতক্ষণ না চোখের পাতা পড়ে। কিছুক্ষণ বিরতি নিয়ে পুনরায় ব্যায়ামটি করুন। দিনে ২-৩ বার এই ব্যায়ামটি করতে পারেন।
বিশ্রাম দিন
টিভি দেখা বা কম্পিউটারে কাজ করার সময় বেশ কয়েকবার বিরতি নিন। একাধারে কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে কম্পিউটার ভিসন সিনড্রোম তৈরি হয়। ২ ঘন্টা পর পর ১০-১৫ মিনিটের বিরতি নিন। চোখের সতেজতার জন্য আপনার ডেস্কে কিছু ফুল রাখতে পারেন। যদি আপনি জানালার পাশে বসেন তাহলে বাইরের দিকে তাকাতে পারেন। এর ফলে চোখের চাপ কমবে এবং চোখ কিছুটা রিলাক্স হতে পারবে।
খাবার
গাজর, বীট, পেঁপে, মাছ ও সবুজ শাকসবজি খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। লাল রঙের ফল ও সবজিতে ভিটামিন এ ও ভিটামিন ই থাকে যা চোখের জন্য উপকারী। প্রচুর জল পান করুন এবং তাজা ফল ও সবজি খান। এর ফলে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে এবং দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি হবে।
সুরক্ষিত রাখুন
বাহিরে যাওয়ার সময় সানগ্লাস পরুন। সুইমিং পুলে সাঁতারের সময় সুইম গিয়ার পরুন যাতে ক্লোরিনযুক্ত জলের সংস্পর্শ থেকে চোখ সুরক্ষিত থাকে।