বুড়িচং সীমান্তে আনাগোনা বেড়েছে মাদকদাসেবীদের
Published : Saturday, 25 September, 2021 at 12:00 AM
সৌরভ মাহমুদ হারুন, বুড়িচং ||
কুমিল্লার
বুড়িচং উপজেলার সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামে মাদকদাসক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি
পাচ্ছে। এর মধ্যে রাজাপুর, ভবেরমুড়া, দক্ষিণগ্রাম, শংকুচাইল এবং বাকশীমুল
ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা বিভিন্ন গ্রাম জামতলা, ধর্মনগর, কালিকৃষ্ণনগর,
পাহাড়পুর অন্যতম। নাম প্রকাশ না করা শর্তে অত্র ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা
বিভিন্ন গ্রামের এক শ্রেণীর জনগণ মাদক পাচারে জড়িত থেকে সমাজে মাদকাসক্ত
বিস্তারে সহায়তা করে আসছে বলে সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা জানান। এতে
উঠতি বয়সের ছেলেরা বেশী আসক্ত হয়ে পড়ছে। সীমান্ত ঘেঁষা বিভিন্ন দোকান ও
বাড়িতে অবস্থান করে তারা এহেন মাদক ব্যবসায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা
করছে।
সীমান্তবর্তী রাজাপুর ইউনিয়নের উত্তরগ্রামের সাবেক মেম্বার মো.
মহব্বত আলী জানান-মাদক নির্মূলে আমাদের সীমান্ত বাহিনী ও পুলিশের ব্যাপক
নজরধারীর অব্যাহত রয়েছে। তবু ও ভারত থেকে কিভাবে মাদক আমাদের দেশে আসে সেটা
বোধগম্য নয়। যার ফলে আমাদের উঠতি বয়সের অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদক
প্রতিরোধে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। বুড়িচং
থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেনের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান-
যারা মাদককে আশ্রয় প্রশয় দিচ্ছেন তাদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। মাদক
প্রতিরোধে আমাদের পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন
বিজিপি
কমান্ডারের সাথে আলাপকালে তারা জানান-মাদক পাচার কমে আসছে। তথাপি ও ভারত
থেকে যাতে কোনরূপ মাদক আমাদের দেশে না আসতে পারে সে লক্ষ্যে আমাদের সকল
প্রচেষ্টা ও কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে ও যাতে কোন কিছু
প্রবেশ করতে না পারে আমরা সে বিষয়ে ও তৎপর রয়েছি।
খাড়েরা বিজিপি বলেন-
মাদক নির্মূলে আমাদের অবস্থান আগের চেয়ে ও কঠোর। তবে আমরা দায়িত্ব পেয়ে কোন
ক্যাম্পে যোগদান করলে সেখানে ৩ দিন, ৭ দিন কিংবা ১ মাসের বেশী না থাকতে
পারায় আমরা প্রকৃত মাদক কারবারির সাথে যারা যুক্ত তাদের চিনতে পারা কষ্টকর
হয়ে যায়। কিংবা চেনার সাথে সাথে পরবর্তী স্টেশনে যোগদানের যাত্রা শুরু করতে
হয়। ফলে মাদক কারবারিরা অধরা থেকে যায়। ফলে দিনকে দিন মাদকাসক্তদের মাত্রা
বৃদ্ধি পেয়ে উঠতি বয়সের ছেলেরা এ নেশায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশী। এতে সাধারণ
অভিভাবক ও এলাকার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যাত নিয়ে
ব্যাপক দু:চিন্তায় দিনাতিপাত করছেন।
বিষয়টি সুরাহাকল্পে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহবাণ জানিয়েছেন বিভিন্ন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা।